সমুদ্রপথে ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী Maruti, দেশের প্রথম বেসরকারি প্রধান বন্দরের সঙ্গে জোট

Avatar

Updated on:

Maruti Suzuki signs agreement with Kamarazar Port

জন্ম জাপানের মাটিতে হলেও মারুতির সঙ্গে মিশে এদেশের মাটিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জাঁকিয়ে ব্যবসা করে চলেছে সুজুকি। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতবর্ষকে তাদের সেকেন্ড-হোম বলা চলে। গাড়ি বিক্রির নিরিখে বরাবরই তারা অন্যান্য সংস্থার থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে তাদের বহু গাড়ি। তাতে গতি আনতে মারুতি সুজুকি এবার গাঁটছড়া বাঁধলো তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে অবস্থিত দেশের প্রথম বেসরকারি প্রধান বন্দর সংস্থা কামারাজার (Kamarajar) পোর্ট লিমিটেডের সাথে।

এদেশে তৈরি হওয়া জনপ্রিয় মডেলগুলির আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি বাড়াতেই এই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল মারুতি। কামারাজার জাহাজ বন্দর থেকে মূলত আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, মধ্য-পূর্ব দেশ, এশিয়ান, ওশিয়ানিয়া এবং সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে তাদের গাড়িগুলি।

এই ডিসেম্বর মাস থেকেই মারুতি সুজুকি এবং তামিলনাড়ুর এই বন্দর সংস্থার মধ্যে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমস্ত গাড়িগুলিকে সমুদ্রপথে অন্যত্র নিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কামারাজার পোর্ট লিমিটেড এক বিশেষ ধরনের কার্গো জাহাজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে ফোর হুইলারের পাশাপাশি অন্যান্য জিনিসপত্র নেওয়া যাবে। সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

টয়োটা মোটরস কর্পোরেশনের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মারুতি সুজুকি। এই চুক্তিপত্র অনুযায়ী কর্ণাটকের বিদাদী-তে অবস্থিত টয়োটা কির্লোস্কার মোটরের কারখানায় উৎপাদন করা হচ্ছে সম্প্রতি লঞ্চ করা এসইউভি Grand Vitara।

এই গাড়িটি বিদেশে পাড়ি দেওয়ার আগে প্রথম পর্যায়ে কামারাজার বন্দরের প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (PDI) কেন্দ্রে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সেখান থেকেই বিদেশে শিপিং এর কাজ সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত ভারতবর্ষের দ্বাদশতম বৃহত্তম বন্দর হিসেবে কামারাজার বন্দরে রয়েছে ১৪,০০০ গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা। শিপিং করার জন্য জাহাজে তোলার আগে প্রত্যেকটি গাড়িকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার ও পরীক্ষা করা হয় এখানে।

বিগত ১৯৮৬ সাল থেকেই আমাদের দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে গাড়ি রপ্তানির কাজ চালু করেছে মারুতি সুজুকি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সবচেয়ে বেশি এক্সপোর্ট ছিল তারা। এই সময়ে পৃথিবীর ১০০টির বেশি দেশে ২.৩৮ লাখেরও বেশি গাড়ি রপ্তানি হয়েছে তাদের হাত ধরেই। এর পাশাপাশি মুম্বাই বন্দর, মুন্দ্রা বন্দর এবং পিপাভাভ বন্দর থেকেও রপ্তানির কাজ চালু রেখেছে তারা।

সঙ্গে থাকুন ➥