সিম কার্ডের দিন শেষ, নম্বর এক রেখে Jio গ্রাহকরা এভাবে অ্যাক্টিভেট করুন eSIM

Avatar

Published on:

How to Activate eSIM Reliance Jio

সময় পাল্টাচ্ছে, আর প্রযুক্তির কল্যাণে একটু একটু করে পরিবর্তন আসছে জীবনের ধরন-ধারণেও! যেমন কয়েক সেমির দৈর্ঘ্য ছাড়িয়ে কিছু বছর আগে স্ট্যান্ডার্ড সিম কার্ড (SIM Card)-এর জায়গা নিয়েছিল মাইক্রো সিম কার্ড; কিন্তু তার দিনও গেছে, বদলে এখন সমস্ত স্মার্টফোনেই ব্যবহৃত হচ্ছে ন্যানো সিম। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বরঞ্চ এই 5G-র যুগে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে eSIM, যা ব্যবহারের জন্য ফিজিক্যাল সিমের কোনো প্রয়োজনই নেই। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে আমাদের দেশের তিনটি প্রধান টেলিকম অপারেটর মানে Reliance Jio, Bharti Airtel এবং Vi বা Vodafone-Idea ফিজিক্যাল সিমকে eSIM-এ রূপান্তর করার সুবিধা দেয়। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি eSIM সাপোর্টেড কোনো ডিভাইস থাকে এবং আপনি ডিজিটাল সিমের যাবতীয় সুবিধা উপভোগ করতে চান, তাহলে আপনার জন্যই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন। কারণ আমরা আজ শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর Jio-র eSIM সুবিধা সক্রিয় করার উপায় শেয়ার করব।

Jio গ্রাহকরা কীভাবে eSIM অ্যাক্টিভেট করবেন?

১. ই-সিম ব্যবহার করতে প্রথমেই নিশ্চিত করুন যে আপনার ডিভাইস জিও ই-সিমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা। আপনি জিওর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটি পরীক্ষা করতে পারেন।

২. এক্ষেত্রে পরীক্ষা হয়ে গেলে সেটিংস (Settings) খুলুন এবং তারপর আপনার আইএমইআই (IMEI), ইআইডি (EID) নম্বর চেক করতে নির্দিষ্ট অপশনে ক্লিক করুন।

৩. পরবর্তী ধাপে একটি সক্রিয় জিও সিমযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে ‘GETESIM’ কথাটির সাথে ৩২ সংখ্যার ইআইডি এবং ১৫ সংখ্যার আইএমইআই লিখে ১৯৯ নম্বরে এসএমএস পাঠান।

৪. এক্ষেত্রে আপনি ১৯ সংখ্যার একটি ই-সিম নম্বর এবং আপনার ই-সিম প্রোফাইল কনফিগারেশনের বিবরণ পাবেন।

৫. এরপর ১৯৯ নম্বরে আবার একটি এসএমএস করতে হবে – ‘SIMCHG’ কথাটি এবং এর সাথে প্রাপ্ত ১৯ সংখ্যার ই-সিম নম্বরটি লিখে। এই মেসেজ পাঠানোর ২ ঘন্টা পরে আপনি ই-সিম প্রসেসিং সম্পর্কে আপডেট পাবেন।

৬. আপডেট এসএমএস পাওয়ার পর ১৮৩ নম্বরে ‘1’ লিখে পাঠিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করুন।

৭. এখন আপনি আপনার জিও নম্বরে একটি কল পাবেন যাতে আপনাকে ২৯ সংখ্যার ই-সিম নম্বর শেয়ার করতে বলা হবে।

৮. এর ঠিক পরপরই আপনি আপনার নতুন ই-সিম সম্পর্কে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন।

কী সুবিধা eSIM-এর?

ই-সিম হাতের মুঠোয় পাওয়ার পদ্ধতি তো জানলেন, এবার এটিতে ঠিক কী কী বেনিফিট পাওয়া যাবে সেই বিষয়েও কিছু কথা জেনে রাখা ভালো। আসলে, ই-সিম বা এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল আদতে বিশেষভাবে তৈরি সিম যা ডিভাইসে চলতি ফিজিক্যাল সিমের বদলে ইনসার্ট করা হয়। স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি এখন এই জিনিসটি ব্যবহার করে ব্যাটারির জন্য জায়গা বাঁচাতে এবং মডেলটিকে পাতলা ডিজাইন বিশিষ্ট করে তুলতে চাইছে, যার ফলে আইফোন (iPhone) এবং অন্যান্য ফোনে তাই এখন এই পরিষেবা মিলছে। কিন্তু আপনি এটি ব্যবহার করলে কী সুবিধা পাবেন? বলে রাখি, ই-সিম, সাধারণ সিমের মতই যাবতীয় পরিষেবা দেয়। এর গ্রাহকরা ঝামেলা ছাড়াই তাদের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন করতে পারেন, কোনো নতুন সিম ছাড়াই। আবার যদি কারো একটির বেশি নম্বর থাকে, তবে তারা এই সিমের সাহায্যে একটি ডিভাইসেই সেই নম্বরগুলির জন্য আলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরি করে ইচ্ছেমত সেই প্রোফাইলগুলিতে স্যুইচ করতে পারবেন।

সঙ্গে থাকুন ➥