5G স্মার্টফোন শিপিংয়ে নতুন রেকর্ড ভারতের, বিক্রি হয়েছে 100 কোটি হ্যান্ডসেট, এগিয়ে Samsung
ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের নতুন নেটওয়ার্ক লঞ্চ হওয়ার আগে থেকেই প্রচুর 5G স্মার্টফোন বাজারে পা রেখেছে। বহু মানুষও এই ফোনগুলি আগেভাগে কিনেছেনও। তবে গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে 5G পরিষেবা রোলআউট হওয়ার পর থেকে, এই নতুন কানেক্টিভিটি সাপোর্টযুক্ত ফোনের বিক্রি বিশাল বেড়েছে। প্রথমত দেশে 5G রোলআউট খুব দ্রুত ঘটছে, আর দ্বিতীয়ত Jio, Airtel-এর সৌজন্যে তা বিনা খরচেই ব্যবহার করা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই স্মার্টফোন আপগ্রেডের ক্ষেত্রে ক্রেতারা 5G ফিচারের দিকে ঝুঁকছেন। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, ভারতে 5G স্মার্টফোনের বিক্রির বিষয়টি সম্প্রতি একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন! গত মে মাসে 5G সাপোর্টেড স্মার্টফোনের শিপমেন্টের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা একটি নতুন রেকর্ড।
5G ফোন বিক্রিতে সেরা Samsung
সাইবারমিডিয়া রিসার্চ (CMR)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫জি স্মার্টফোনের শিপিং চালু হওয়ার পর থেকে এর পরিমাণ ২৮ গুণ বেড়েছে। মে মাসে ইন্ডিয়ান মার্কেটে ৫জি স্মার্টফোনের শিপমেন্ট ছিল ৪৮%, যেখানে সবচেয়ে বেশি ৫জি ফোন বিক্রি করেছে স্যামসাং। এক্ষেত্রে ৫জি হ্যান্ডসেট বিক্রিতে স্যামসাংয়ের ঠিক পরেই নাম আছে ওয়ানপ্লাস (OnePlus) এবং ভিভো (Vivo)-র। উল্লেখ্য, এই তিনটি ব্র্যান্ড একসাথে ৬০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনে ৫জি স্মার্টফোনের বাজার গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে।
২০২২ সালে ভারতে প্রায় ১০০টি 5G স্মার্টফোন লঞ্চ হয়েছে
পরিসংখ্যান বলছে যে, ২০২০ সালে ভারতের বাজারে প্রথম ৫জি স্মার্টফোন লঞ্চ হয়, যারপর থেকে এখনও অবধি এর শিপমেন্ট ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০২২ সালে মানে গত বছরেই এদেশে ১০০টি ৫জি স্মার্টফোন লঞ্চ হয়েছে।
তবে সিএমআরের মত এটাই যে, ভারতের মানুষের কাছে ৫জি আরও ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০,০০০ টাকার রেঞ্জে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে বেশি সংখ্যায় ৫জি স্মার্টফোন চালু করা প্রয়োজন। আর এমনটা হলে এই ধরণের ফোনের বিক্রি আরও বাড়বে।