9 বছরে উৎপাদন বেড়ে 99 শতাংশ! মোদী সরকারের হাতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে ভারতের মোবাইল বাজার
এই এক দশকের কাছাকাছি সময়ে ভারতের মানুষের জীবন ব্যাপকভাবে স্মার্টফোন কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে, আর গত কয়েক বছরে উন্নতি হয়েছে দেশের মোবাইল বাজারেরও। ভারত এখন মোবাইল স্মার্টফোন বিক্রি এমনকি তৈরিতেও বিশ্বে অন্যতম প্রধান জায়গা করে নিয়েছে। এদিকে এই সাফল্যের কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা মোদী সরকারকে। ২০১৪ সালে সরকার পাল্টানোর পর থেকেই ভারত প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বিকশিত হয়েছে এমনটা অনেকেই বলছেন, এই দাবি করছে খোদ সরকারও – কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত ৯ বছরে আমাদের দেশ এতটাই এগিয়েছে যে এখন ৯৯.২% ফোন স্থানীয়ভাবে এখানে উৎপাদন হয়। অথচ ২০১৪ সালের আগে ইন্ডিয়ান মোবাইল মার্কেট সম্পূর্ণভাবে আমদানির উপর নির্ভরশীল ছিল। কতটা যুক্তিযুক্ত এই দাবি?
৯ বছরে ২০ শতাংশ বেড়েছে 'Made in India' ফোনের উৎপাদন
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি টুইটে দাবি করেছেন যে, ২০১৪ সালে দাঁড়িয়ে ভারত ৭৮ শতাংশ মোবাইল আমদানি করত। কিন্তু আজ মানে ৯ বছর পর সেই ছবি পুরোপুরি পাল্টে গেছে। বর্তমানে ভারতের মোবাইল বাজারের ৯৯.২ শতাংশ (মানে বেশিরভাগটাই) সম্পূর্ণরূপে মেড ইন ইন্ডিয়া স্মার্টফোনের দখলে রয়েছে৷ অশ্বিনীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই ভারতের মোবাইল উৎপাদন প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হলেও এই দাবি যে অমূলক নয়, তা বাজারের দিকে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে যে স্মার্টফোনগুলি তৈরি হয়, সেগুলিকে মেড ইন ইন্ডিয়া স্মার্টফোন বলা হয়। এখন Xiaomi, Realme থেকে শুরু করে Apple, Samsung-এর মতো জনপ্রিয় বৈদেশিক ব্র্যান্ডগুলি ভারতে নিজেদের স্মার্টফোন তৈরি করে; বিশেষত, করোনা অতিমারীর সময় থেকে তারা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষেত্রে আরও তৎপর হয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য মোদী সরকার, তাদের প্রোডাক্ট লিঙ্কড ইনসেন্টিভ (PLI) স্কিমের সুবিধাও দিচ্ছে।
তবে অন্যদিকে এটাও ঠিক যে, আজও অনেক স্মার্টফোনেরই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ চীন বা ভিয়েতনামের মতো জায়গা থেকে আমদানি করা হয়। মূলত চিপসেট এবং ক্যামেরা সেন্সরের মতো অংশগুলির জন্য ভারতকে বাইরের দেশগুলির ওপর নির্ভর করতে হয়। যদিও সরকার এইসব পার্টসও দেশেই তৈরি করার জন্য সচেষ্ট হয়েছে।