Mobile Phones: ভারতে দাম কমতে চলেছে স্মার্টফোনের? এদেশেই ফোনের যন্ত্রাংশ তৈরি করবে কম্পোনেন্ট নির্মাণ সংস্থারা

Avatar

Published on:

government-to-attract-electronics-component-manufacturers-in-india

কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের মাটিতে একটা শক্তিশালী প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে। যেকারণে ২০২১ সালে ‘প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ’ (PLI) নামের একটি স্কিমের ঘোষণা করা হয়। এই স্কিম চালু করার অন্যতম উদ্দেশ্য হল, বিদেশী সংস্থাগুলিকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারে উৎসাহিত করা। এক্ষেত্রে বিগত দু’বছরের মধ্যে ভারত সরকার এই উদ্দেশ্যে পূরণে অনেকখানি সফলও হয়েছে। প্রমাণস্বরূপ, স্যামসাং (Samsung), শাওমি (Xiaomi), অ্যাপল (Apple) -এর মতো একাধিক নামিদামি ব্র্যান্ড এখন স্থানীয়ভাবেই তাদের স্মার্টফোন তৈরি করছে। আবার শোনা যাচ্ছে এই তালিকায় শীঘ্রই নাথিং (Nothing) সংস্থাও সামিল হতে চলেছে। এখন আবার এদেশের কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ’ (PLI) স্কিমের একটি নয়া সংস্করণের অধীনে ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট নির্মাতাদেরও স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকার্য পরিচালনার প্রস্তাব দিচ্ছে।

জানিয়ে রাখি, ভারতে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ স্মার্টফোনই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল সহ আসে। যদিও ডিভাইসগুলি প্রকৃতপক্ষে ভারতে তৈরি করা হয় না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট বাইরে থেকে এনে ডিভাইসগুলি নির্মাণ করা হয়। তবে বাইরের দেশ থেকে কম্পোনেন্ট নিয়ে এসে এখানে স্থানীয়ভাবে অ্যাসেম্বলি করার কাজ করার কারণে টেক ব্র্যান্ডগুলির কাঁধে আমদানি শুল্ক চাপে। যার দরুন মোবাইলের দাম খুব একটা কমানো সম্ভব হয়না। এই কারণেই ভারত সরকার বর্তমানে সক্রিয়ভাবে একটি পাকাপোক্ত ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম তৈরি করতে উদ্যোগী। যার অংশ হিসাবে মোবাইল নির্মাতাদের পাশাপাশি কম্পোনেন্ট ডেভলপারদেরও এদেশে তাদের ব্যবসা বিস্তারে আগ্রহী করে তোলা অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুসারে, নতুন PLI স্কিমের অধীনে – চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং আমেরিকার এমন কয়েকটি কম্পোনেন্ট নির্মাণকারী সংস্থাকে এদেশে ব্যবসা বিস্তারের জন্য আকৃষ্ট করা হচ্ছে যাদের মূল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট চীনে অবস্থিত। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৪,৮৮,৮০০ কোটি টাকা) মূল্যের ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে।

প্রসঙ্গত এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। যেখানে মোবাইল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টগুলির আমদানি শুল্ক ১৫% থেকে কমিয়ে ১০% করা হয়েছে। এই তালিকায় সামিল রয়েছে – স্ক্রু, সিম সকেট, ধাতব যান্ত্রিক উপাদান, ব্যাটারি কভার, ফ্রন্ট কভার, প্রাইমারি লেন্স, ব্যাক কভার, জিএসএম অ্যান্টেনা, পলিউরেথেন ফোম কেস, পরিবাহী কাপড় (কন্ডাক্টিভ ক্লোথ), এলসিডি পরিবাহী ফোম, এলসিডি ফোম, বিটি ফোম, হিট ডিসিপেশন স্টিকার, ব্যাটারি কভার স্টিকার, প্রাইমারি লেন্সের প্রতিরক্ষামূলক ফিল্ম, এলসিডি এফপিসির জন্য মাইলার, ফিল্ম-ফ্রন্ট ফ্ল্যাশ এবং সাইড কী।

মনে করা হচ্ছে, এদেশে একটা স্বনির্ভর ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করা এবং স্থানীয়ভাবে নির্মিত স্মার্টফোনের রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত এই নয়া নীতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এমনকি ভারত সরকারের, ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার সংস্থাগুলিকে এদেশে নির্মাণকার্য চালানোর জন্য আকর্ষণ করার চেষ্টাও সফলতা পেতে পারে এই পদক্ষেপের কারণে।

সঙ্গে থাকুন ➥