HomeMobilesVivo Y200 GT vs Vivo Y200t: সদ্য লঞ্চ হওয়া দুই ফোনের মধ্যে কোনটি সেরা দেখে নিন

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t: সদ্য লঞ্চ হওয়া দুই ফোনের মধ্যে কোনটি সেরা দেখে নিন

গত পরশু অর্থাৎ ২০ই মে লঞ্চ হয়েছে Vivo Y200 GT এবং Vivo Y200t স্মার্টফোন। উভয় মডেলই মিড-রেঞ্জের অধীনে এসেছে। এমনকি ডিভাইস দুটির চার্জিং ক্যাপাসিটি, স্টোরেজ, র‍্যাম, অপারেটিং সিস্টেম, রিয়ার ক্যামেরা সহ বেশ কয়েকটি বিভাগের ফিচার অনুরূপ। তবে ডিজাইন সহ প্রসেসর ভ্যারিয়েন্ট, ডিসপ্লে, সেলফি ক্যামেরা, ব্লুটুথ সংস্করণ আলাদা। যেকারণে হ্যান্ডসেট দুটির দামেও ফারাক নজরে পড়বে। এক্ষেত্রে এখন বিচার্য বিষয় হল – Vivo Y200 GT এবং Vivo Y200t ফোনের মধ্যে হাতেগোনা যেকয়েকটি পার্থক্য বিদ্যমান তার জন্য কোনটি সর্বাধিক সেরা হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেছে? এই উত্তর পেতে আজ আমরা ফোন দুটির মধ্যে দাম ও ফিচারগত তুলনামূলক আলোচনা করলাম।

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t : ডিজাইন, পরিমাপ

Vivo Y200 GT ফোনের পিছনে বর্গাকৃতির ক্যামেরা মডিউল বর্তমান। এর পরিমাপ ১৬৩.৭২x৭৫.৮৮x৭.৯৮ মিমি এবং ওজন ১৯৩ গ্রাম।

Vivo Y200t ফোনের ব্যাক প্যানেলে বৃত্তাকার ক্যামেরা মডিউল লক্ষণীয়। এর পরিমাপ ১৬৫.৭ x ৭৬ x ৭.৯৯ মিমি এবং ওজন ১৯৯ গ্রাম।

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t : ডিসপ্লে, সেন্সর

ভিভো ওয়াই২০০ জিটি ফোন ৬.৭৮-ইঞ্চির ১.৫কে AMOLED ডিসপ্লে সহ এসেছে, যা ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট অফার করে। সিকিউরিটি ফিচার হিসাবে এতে ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার উপলব্ধ।

ভিভো ওয়াই২০০টি স্মার্টফোনে ৬.৭২-ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস IPS LCD টাচ-প্যানেল রয়েছে, যা ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। নিরাপত্তার জন্য মিলবে সাইড-ফেসিং ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার।

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t : প্রসেসর, র‍্যাম, স্টোরেজ, অপারেটিং সিস্টেম

ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ভিভো ওয়াই২০০ জিটি স্মার্টফোনে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭ জেন ৩ প্রসেসর উপস্থিত। এটি ১২ জিবি পর্যন্ত এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম এবং সর্বাধিক ৫১২ জিবি ইউএফএস ২.২ স্টোরেজ সহ পাওয়া যাবে। আবার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক অরিজিনওএস ৪ প্রি-লোডেড আছে।

ভিভো ওয়াই২০০টি ফোনে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ১ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে, যার সাথে ১২ জিবি পর্যন্ত এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম এবং ৫১২ জিবি পর্যন্ত ইউএফএস ২.২ স্টোরেজ সংযুক্ত। এই ফোনও অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক অরিজিনওএস ৪ কাস্টম স্কিনে রান করে।

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t : ক্যামেরা বিভাগ

ক্যামেরা বিভাগের কথা বললে, Vivo Y200 GT ফোনে – ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর + ২ মেগাপিক্সেল ডেপ্থ লেন্স যুক্ত ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ উপস্থিত রয়েছে। আবার সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা।

ফটো ও ভিডিওগ্রাফির জন্য, Vivo Y200t ফোনের রিয়ার প্যানেলে ডুয়েল ক্যামেরা ইউনিট বিদ্যমান। এই ক্যামেরাগুলি হল ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর + ২ মেগাপিক্সেল ডেপ্থ লেন্স। এদিকে ডিভাইসের সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t : ব্যাটারি, কানেক্টিভিটি বিকল্প

ভিভো ওয়াই২০০ জিটি ফোনে ৮০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৬,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। কানেক্টিভিটির জন্য সামিল থাকছে ডুয়েল সিম স্লট, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ৫.৪, একটি ইউএসবি-সি পোর্ট এবং আইআর ব্লাস্টার।

পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ভিভো ওয়াই২০০টি ফোনে ৪৪ ওয়াট চার্জিং সমর্থিত ৬,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। কানেক্টিভিটি বিকল্প হিসাবে ডুয়েল সিম স্লট, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ৫.২, একটি ইউএসবি-সি পোর্ট এবং একটি ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক পাওয়া যাবে।

Vivo Y200 GT vs Vivo Y200t : দাম

ভিভো ওয়াই২০০ জিটি স্মার্টফোন মোট চারটি স্টোরেজ অপশনে এসেছে। যার মধ্যে – ৮ জিবি র‍্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ যুক্ত বেস বিকল্পের দাম রাখা হয়েছে ১,৫৯৯ ইউয়ান (প্রায় ১৮,৪০০ টাকা)। এছাড়া ৮ জিবি র‍্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, ১২ জিবি র‍্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ এবং টপ-এন্ড ১২ জিবি র‍্যাম + ৫১২ জিবি স্টোরেজ অপশনগুলির দাম থাকছে যথাক্রমে ১,৭৯৯ ইউয়ান (প্রায় ২১,১০০ টাকা), ১,৯৯৯ ইউয়ান (প্রায় ১৩,৪০০ টাকা) ও ২,২৯৯ ইউয়ান (প্রায় ২৭,০০০ টাকা)। এটি – স্টর্ম এবং থান্ডার কালার ভ্যারিয়েন্টে এসেছে।

অন্যদিকে ভিভো ওয়াই২০০টি মডেলটিও অনুরূপ স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের সাথে লঞ্চ হয়েছে। তবে দামে ফারাক নজরে পড়বে। যেমন বেস ৮ জিবি র‍্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ বিকল্পটি এসেছে ১,১৯৯ ইউয়ান (প্রায় ১৩,৮০০ টাকা) মূল্যে। এছাড়া ৮ জিবি র‍্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, ১২ জিবি র‍্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ এবং উচ্চতর ১২ জিবি র‍্যাম + ৫১২ জিবি স্টোরেজ তিনটির দাম যথাক্রমে – ১,২৯৯ ইউয়ান (প্রায় ১৫,২০০ টাকা), ১,৪৯৯ ইউয়ান (প্রায় ১৭,৬০০ টাকা), ও ১,৬৯৯ ইউয়ান (প্রায় ১৯,৯০০ টাকা) ধার্য করা হয়েছে। এটি – কিংশান (নীল) এবং অরোরা (সবুজ) কালারে পাওয়া যাবে।

RELATED ARTICLES

আরও পড়ুন