আজ ভারতে আসছে বহু চর্চিত OnePlus 12, এই 5 ফিচারের কারণে পেছনে থাকবে Samsung ও অন্যেরা
এখনকার সময়ে আমার-আপনার মতো বেশিরভাগ জনই স্মার্টফোন (Smartphone) কেনার ক্ষেত্রে বাজারে নতুন হওয়া লেটেস্ট মডেলগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি, কারণ নতুন ফোনগুলি নতুন ডিজাইন, স্পেসিফিকেশন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে আসে। যদিও লঞ্চ হওয়ার সাথে সাথে কেনা স্মার্টফোন সবসময় ইউজারদের চাহিদা পূরণ করে এমন নয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই যখন একটি নতুন ফোন কেনেন, তখন তাঁদের অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় থাকে, যাতে করে তাদের নিজের জন্য সেরা মডেলটি বেছে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হতে পারে। এত কথা বলার কারণ একটাই, আজ ২৩শে জানুয়ারি বহুল চর্চিত OnePlus 12 প্রিমিয়াম ফোনটি লঞ্চ হতে চলেছে, যার জন্য OnePlus কমিউনিটি এবং স্মার্টফোন ইউজাররা উভয়েই (পড়ুন গোটা বাজার) অপেক্ষা করছেন। আসলে গত ডিসেম্বরে সংস্থার দেশীয় বাজার চীনে এই ফোনটি আত্মপ্রকাশের পর থেকেই বেশ সাড়া ফেলেছে – এমনকি দাম, জনপ্রিয়তা ইত্যাদি অনেক দিকে এটি সদ্য লঞ্চ হওয়া Samsung S24-কে ছাপিয়ে গেছে। বাজারের অন্য সব ফোনের থেকে আলাদা এই OnePlus 12-কে পরবর্তী গেম চেঞ্জার মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু এই ফোনটি কেনা কতটা লাভজনক হবে? কেনই বা এর এত জনপ্রিয়তা? চলুন তবে, OnePlus 12 ফোন সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেওয়া যাক যা এটিকে ইউজারদের প্রিয় স্মার্টফোনে পরিণত করতে পারে।
এইসব কারণে বাজারে হিট OnePlus 12 ফোনটি
১. নজরকাড়া ডিসপ্লে: ওয়ানপ্লাস ১২ মডেলে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটযুক্ত 2K সুপার ফ্লুইড ডিসপ্লে আছে, যার পিক ব্রাইটনেস ৪,৫০০ নিটস। অন্যদিকে স্যামসাং এস২৪ ফোনে দেওয়া হয়েছে ২,৬০০ নিটস পিক ব্রাইটনেসের স্ক্রিন। অর্থাৎ ডিসপ্লের দিক দিয়ে ওয়ানপ্লাস এগিয়ে আছে। উল্লেখ্য, এই ফোনে LTPO প্রযুক্তি রয়েছে যা স্ক্রিনের নতুন ব্লু ডায়মন্ড পিক্সেল লেআউটকে হাইলাইট করে এবং সবচেয়ে উজ্জ্বল-অ্যাডজাস্টেড কালার আউটপুট প্রদান করে। এছাড়া এর অ্যাকোয়া টাচ টেকনোলজির কারণে স্ক্রিনে জল থাকলেও ঠিকঠাক টাচ্ কাজ করবে।
২. পারফরম্যান্সে সেরা: স্মার্টফোনের কর্মক্ষমতা প্রতিটি ইউজারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে যেখানে নতুন লঞ্চ হওয়া হাই-এন্ড Samsung Galaxy S24 Ultra-তে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ চিপসেট ব্যবহার হয়েছে, সেখানে ভ্যানিলা ওয়ানপ্লাস ১২ মডেলেই এই প্রসেসর আছে। শুধু তাই নয়, এটি সিপিইউ-ভাইটালাইজেশন, রিয়েল ফ্ল্যাগশিপ ১২ জিবি র্যাম, ট্রিনিটি ইঞ্জিন ইত্যাদি ফাংশনও আছে। আর এই উন্নত হার্ডওয়্যারের কারণে ওয়ানপ্লাস ১২-তে ফাস্ট এবং স্মুথ এক্সপিরিয়েন্স মিলবে।
৩. ব্যাটারি লাইফ এবং চার্জিং স্পিড: আজকের দিনে ফোন বেশিক্ষণ চার্জে বসিয়ে রাখার সময় কারোরই নেই, এদিকে সবার চাই লম্বা ব্যাটারি ব্যাকআপ। সেক্ষেত্রে ওয়ানপ্লাস ১২ ফোনের ব্যাটারি লাইফ এবং চার্জিং ক্যাপাসিটি ইউজারদের বেশ আকর্ষণ করবে। কারণ এতে ৫,৪০০ এমএএইচ ব্যাটারি আছে, যার সাথে ১০০ ওয়াট সুপারভোক (SuperVOOC) ওয়্যার্ড ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট মিলবে। এতে করে মোট ২৬ মিনিটে ফোনটি ফুল চার্জ হবে, আবার ব্যাটারি লেভেল দ্রুত ডাউন হবেনা।
৪. সুপার কুলিং সিস্টেম: ওয়ানপ্লাস ১২ ফোনে ইন্ডাস্ট্রি লিডিং ডুয়াল ক্রায়ো-ভেলোসিটি ভিসি (Dual Cryo-velocity VC) কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা বিশেষভাবে ফোনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। বলা হচ্ছে যে, এই প্রযুক্তির কারণে যতই ফোনটি ব্যবহার করা হোক না কেন, এটি মোটেও গরম হবেনা।
৫. দুর্দান্ত ক্যামেরা: ওয়ানপ্লাস ১২ ফোনে ৫০ মেগাপিক্সেল Sony LYT-808 প্রাইমারি ওআইএস (OIS, অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন) সেন্সর, ৩এক্স পেরিস্কোপ জুম ফিচার বিশিষ্ট ৬৪ মেগাপিক্সেল OmniVision OV64B সেন্সর এবং ৪৮ মেগাপিক্সেল Sony IMX581 অটোফোকাস আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সযুক্ত ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ আছে। সেলফি এবং ভিডিও কলিংয়ের জন্য এতে মিলবে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা (অ্যাপারচার এফ/২.৪)। উল্লেখ্য, এই ফোনের প্রত্যেকটি ক্যামেরাই হ্যাসেলব্লাড (Hasselblad) নির্মিত। অর্থাৎ এর মাধ্যমে অনন্য ফটোগ্রাফি করা যাবে।