বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এই মুহূর্তে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই অ্যাপ ব্যবহার করার সময় বেশ কিছু ভুলের কারণে আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। এমনকি, ঠাঁই হতে পারে সোজা জেলে। বর্তমানে ছোট থেকে বড় সকলেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, সবার ফোনে কোনও অ্যাপ থাকুক না থাকুক এই অ্যাপটির উপস্থিতি উজ্জ্বল। তাই এই প্ল্যাটফর্মে কী করবেন না সেটা জানাও জরুরী।
হোয়াটসঅ্যাপে কী কী ভুলে আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন?
হোয়াটসঅ্যাপে কিছু কার্যকলাপ অবৈধ। যেমন অশ্লীল, হিংসাত্মক বা ধর্মীয়ভাবে আপত্তিকর বিষয়বস্তু শেয়ার করা আইনের পরিপন্থী। আইটি আইন 2000 এর ধারা 67 অনুসারে, এই কাজ করলে কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। ঠিক তেমনই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দাঙ্গা উস্কে দেয় এমন চাঞ্চল্যকর খবর, বার্তা বা ভিডিয়ো শেয়ার করা সামাজিক সম্প্রীতিকে ভঙ্গ করতে পারে। যারা এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত তারা IPC ধারা 505 এর অধীনে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপে কাউকে হয়রানি বা হুমকিমূলক বার্তা পাঠানো সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি অনেকেই জানেন না। এই ধরনের ক্রিয়াকলাপগুলি IPC ধারা 503 এর অধীনে একটি গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচিত। এবং, আইন দ্বারা শাস্তিযোগ্য। পাশাপাশি জাতিগত, ধর্মীয় বা সামাজিক সম্প্রীতির ভঙ্গ করে এমন বার্তা বা ভিডিয়ো পাঠানোও অপরাধ। আপনি যদি একজন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিন হন, তাহলে এই ধরনের বিষয়বস্তু প্রতিরোধ করুন। নাহলে পরিণতি ভয়ঙ্কর। গ্রুপ অ্যাডমিনরা তাদের গ্রুপে শেয়ার করা এই ধরনের বার্তার জন্য দায়ী থাকতে পারেন।
এছাড়াও, শিশুদের সাথে সম্পর্কিত অশ্লীল বা হিংসাত্মক ভিডিয়ো শেয়ার করা, শিশু যৌন নির্যাতনের বিষয়ে পোস্ট বা আলোচনা এবং হোয়াটসঅ্যাপে এই ধরনের কন্টেন্ট শেয়ার করা বেআইনি। এটি POCSO আইনের অধীনে একটি গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত। হোয়াটসঅ্যাপে আধার কার্ড, পাসপোর্ট বা সরকারি নথির নকল কপি বিক্রি করাও অপরাধ।