গুগল ম্যাপও হদিশ দিতে পারে না, পৃথিবীর এই রহস্যপূর্ণ স্থানগুলির ব্যাপারে জানা আছে?
পৃথিবীর এই আটটি গোপন স্থানের খোঁজ নাকি গুগল ম্যাপ (Google Map)-এও নেই। সত্যিই এ এক আশ্চর্যের বিষয়! এক চুটকিতে পৃথিবীর যে কোনও জায়গার সন্ধান দিতে সক্ষম গুগল ম্যাপ। তাহলে এই আটটি ‘রহস্যজনক’ স্থানের ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপে ব্যতীক্রম কেন? গুগল ম্যাপে এই স্থানগুলির খোঁজ করলে কোনও বিশেষ কারণে তা পিক্সেলেটেড অথবা অস্পষ্ট করে দেখানো হয়। এর পিছনে ঠিক কী কারণ৷ জায়গাগুলির অবস্থানই বা কোথায়৷ আসুন জেনে নিই৷
Google Map সন্ধান দিতে অক্ষম এই আটটি জায়গার
১) এই তালিকার প্রথমে রয়েছে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ক্যাটেনম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (Cattenom Nuclear Power Plant), যা ফ্রান্সের লুক্সেমবার্গ শহরে (Luxembourg) মোসিলি নদীর (Moselle) উপর অবস্থিত।
২) দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্রিসের কেওএস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Kos International Airport)। এই দ্বীপে যাত্রীদের পরিবহনের জন্য কেবলমাত্র চার্টার এয়ারলাইন্স বিমান চলাচল করে। গ্রীষ্মের সময় এই দ্বীপে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মত।
৩) তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলাস্কার আমচিটকা দ্বীপ (Amchitka Island, Alaska)। তথ্য অনুযায়ী এই দ্বীপটিকে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য ১৯৫০ সালে মার্কিন এটোমিক এনার্জি কমিশন (US Atomic Energy Commission) দ্বারা নির্বাচিত করা হয়েছিল। এই দ্বীপে এরকম মোট তিনটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে এই দ্বীপটিকে তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিঃসরণ সম্পর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও ব্যবহার করা হয়। শোনা যাচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপটিকে নিষিদ্ধ বন্য সংরক্ষণ ভূমি হিসেবে তৈরি করা হবে।
৪) চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়ার জিনেট দ্বীপ (Jeannette Island, Russia)। এটি পূর্ব সাইবেরিয়ান সমুদ্রের উপর অবস্থিত। এই জায়গাটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় এখানে রাশিয়ার গোপন সামরিক কেন্দ্র রয়েছে যা সমগ্র বিশ্বের কাছে আড়াল রাখা হয়েছে।
৫) পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্সের মারকোল পারমাণবিক কেন্দ্র (Marcoule Nuclear Site, France)। জানা গেছে যেহেতু এই স্থানে সর্ববৃহৎ পারমাণবিক পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে তাই রাশিয়ান সরকারের নির্দেশে গুগল ম্যাপে এই স্থানটিকে আবছা করে দেখানো হয়।
৬) ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জাপানের মিনামি তোরিসিমা বিমানবন্দর (Minami Torishima Airport, Japan)। জাপানের উপকূলবর্তী বাহিনীর ব্যবহারের কারণে এই স্থানটিকে গুগল ম্যাপে সাদাটে দেখানো হয়।
৭) সপ্তম স্থানে রয়েছে ফ্রান্সের মরুরোয়া দ্বীপ (Moruroa Island, France)। ১৯৬৬ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই স্থানটিকে ফ্রান্স পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করেছিল। এমনকি এই স্থানটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
৮) অষ্টম এবং সর্বশেষ স্থানে রয়েছে আলাস্কার High-frequency Active Auroral Research Program কেন্দ্র৷ উচ্চ কম্পাঙ্ক এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এই স্থানে যা কিনা আলাস্কার গাকোনা (Gakona, Alaska) নামক একটি স্থানে অবস্থিত। জানা গেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দ্বারা ব্যবহৃত হয় এই স্থানটি।
উল্লিখিত স্থানগুলির গুগল ম্যাপে খোঁজ করলে কোথাও অস্পষ্ট, কোথাও সাদাটে, আবার কোথাও পিক্সেলেটেড দেখায়। প্রধানত নিরাপত্তাজনিত কারণেই এরকমটা দেখানো হয়ে থাকে।