সামনেই ভোট, কাছে দুটি Voter ID থাকলে সাবধান হয়ে যান, নাহলে হতে পারে জেল-জরিমানা
Election 2024: ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে এই বছর অর্থাৎ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের তারিখ, যে কারণে গোটা ভারতে এখন ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক মহল তো এই মুহূর্তে চরম উত্তাল! এমতাবস্থায় গোটা দেশই, কেন্দ্রে সরকার গঠনের প্রসঙ্গে চর্চা চালাচ্ছে, অনেকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও রীতিমত উত্তেজিত। এমনিতে ভারতে, 18 বছর বয়স হলে তবেই প্রত্যেক নাগরিক ভোট দেওয়ার অধিকার পায়। কিন্তু শুধু বয়সের বিধিনিষেধ নয়, ভোট দিতে হলে আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য কাছে ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card) থাকা খুবই জরুরি। এই নথিটি পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসেবেও কার্যকরী। কিন্তু ধরুন, কোনোভাবে আপনার কাছে যদি একটি না বরঞ্চ দু-দুটি ভোটার আইডি থাকে? সেক্ষেত্রে কী হবে? সাবধান, এই বিষয়টি খেয়াল না রাখলে কিন্তু বড় বিপদের মুখে পড়তে পারেন।
কাছে দুটি Voter ID থাকলে কী হবে?
দুই বা ততোধিক ভোটার আইডি কাছে থাকা সরকারের চোখে অপরাধ (দেওয়ানী অথবা ফৌজদারি) হিসাবে বিবেচিত হয়। আইনত, একজন ব্যক্তি, একাধিক ভোটার আইডি রাখতে বা ব্যবহার করতে পারবেননা। ফলত কারো কাছে দুটি ভোটার আইডি পাওয়া গেলে ধরা পড়লে 1 বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা কিংবা উভয় শাস্তিই হতে পারে। এছাড়া, একাধিক ভোটার লিস্টে নিজেকে ভোটার হিসাবে রেজিস্টার করে রাখার বিষয়টিও অবৈধ।
Voter ID-র জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
১. আপনি যদি এবার প্রথম ভোট দেন বা আপনার নির্বাচনী এলাকা পরিবর্তন হয় অথবা আপনার কাছে ভোটার আইডি কার্ড না থাকে, তাহলে আপনাকে তার জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যেতে হবে। নতুন ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য পূরণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনের জারি করা 'ফর্ম 6' (Form 6) অ্যাপ্লিকেশন।
এক্ষেত্রে এনআরআই (NRI) ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংযোজন করা বা মুছে ফেলার জন্য ফর্ম 6এ (Form 6A) এবং 7 (Form 7) ব্যবহার করতে হবে৷ অন্যদিকে আইডিতে কোনোরকম সংশোধনের জন্য, ফর্ম 8 (Form 8) ব্যবহার করতে হবে, আর যদি আপনি নিজের নির্বাচনী এলাকা পরিবর্তন করে থাকেন তবে ফর্ম 8A (Form 8A)-এর সাহায্য নিন৷
২. অফিসিয়াল অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের প্রয়োজন মাফিক ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য পছন্দের ভাষা নির্বাচন করুন এবং প্রয়োজনীয় বিবরণ সেখানে দিন। ফর্মের সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা নথি আপলোড করুন।
৩. আপলোড করা সমস্ত বিবরণ যাচাই করুন। একবার অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করলে আপনি একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাবেন, যার মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস ট্র্যাক করা যাবে।
মনে রাখবেন, সাধারণত ভোটার আইডি তৈরি করতে এবং এতে যেকোনো ধরণের বিবরণ পরিবর্তন করতে প্রায় 30 দিন অর্থাৎ একমাস সময় লাগে।
কী কী নথি লাগবে?
মনে রাখবেন, আপনি নতুন ভোটার হলে আইডির জন্য আবেদন করার সময়, এই সমস্ত ডকুমেন্ট পিডিএফ/জেপিজি/জেপিইজি (PDF/JPG/JPEG) ফরম্যাটে কনভার্ট করতে হবে –
- দু-কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
- ঠিকানার প্রমাণ বা অ্যাড্রেস প্রুফ,
- ব্যাঙ্কের পাসবুকের কপি,
- রেশন কার্ড,
- পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স,
- ভাড়ার চুক্তি,
- জল, টেলিফোন, গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল,
- বয়সের শংসাপত্র,
- আধার কার্ড (Aadhaar Card)
- প্যান কার্ড (PAN Card)।