Energy Vehicle Subsidy: বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের ঘোষণা চীন সরকারের

পরিবেশবান্ধব যানবাহনই বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের লক্ষ্য। পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে তৎপর বেশিরভাগ দেশ ইতিমধ্যেইজীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের সংখ্যা কম করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফেলেছে। মানুষকে এই যানবাহনের প্রতি উৎসাহিত করতে বিভিন্ন দেশের সরকার নানাবিধ প্রকল্পের ঘোষণা করছে। সেদিকে পিছিয়ে নেই ভারত’ও। তবে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে গতিশীলতার মহেন্দ্রক্ষণে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি (new energy vehicle বা NEV)-র উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের ঘোষণা করল চীন। ২০২২ এর পর থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর থেকে ৩০% ভর্তুকি তুলে দেওয়া হবে বলে জানালো চীন সরকার।

২০২০ থেকে ২০২২-এর মধ্যে প্রথমে ১০%, পরে ২০% এবং সবশেষে ৩০% ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল চীনের অর্থমন্ত্রক। এক কথায় ২০২২-এর পর চীনে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির উপর কোনো ভর্তুকি দেবে না সরকার। অর্থাৎ সে দেশের নাগরিকদের ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে গেলে গুনতে হবে অতিরিক্ত কড়ি। পাশাপাশি দেশের গণপরিবহণের উপর এবছর ২০ শতাংশ ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে, যা ২০২১-এ ১০ শতাংশ করা হয়েছিল।

অন্যদিকে Volkswagen AG, General Motors Co, Toyota Motor Corp এবং Tesla Inc চীনে নিজেদের বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির উৎপাদন ক্রমশই বাড়িয়ে চলেছে। চীনের বাজারে এই গাড়িগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে চীনে পরিবেশবান্ধব গাড়ি বিক্রির শতকরা হার ৪৭% বৃদ্ধি পেয়েছে, সারা বছরে যে সংখ্যাটি ৫ মিলিয়ন।

প্রসঙ্গত, চীন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার। ২০২৫ এর মধ্যে একটি লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সে দেশের সরকার, অন্যান্য যানবাহন বিক্রির মধ্যে ২০ শতাংশ হতে হবে পরিবেশবান্ধব গাড়ি, যার মধ্যে রয়েছে প্লাগ-ইন হাইব্রিড, ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভেহিকেল। চীন সরকারের এই সিদ্ধান্তে পরিবেশবান্ধব গাড়ির বিক্রিতে কোনো প্রভাব পড়ে কিনা এখন তাই দেখার।