Jio কে সুবিধা করে দিতেই BSNL কে ধ্বংস করছে কেন্দ্র, অভিযোগ এই সাংসদের
এবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা BSNL -এর দুরবস্থার জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেন ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান। লোকসভা বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। এর ফলে সভায় উপস্থিত বিজেপি সদস্যরা তার সঙ্গে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সভার স্পিকার ওম বিড়লার হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়ে। যদিও বাদানুবাদ সত্ত্বেও মারান তার বক্তব্য থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি।
আসলে বেসরকারি টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলি 5G পরিষেবার দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও, BSNL এখনও 4G পরিষেবা চালু করতেই অপারগ! একদিকে বেহাল নেটওয়ার্ক তো অন্যদিকে 4G পরিষেবার অনুপস্থিতি - সব মিলিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি প্রতিনিয়ত তাদের গ্রাহক ভিত্তি হারাচ্ছে। বিএসএনএলের পরিষেবা ত্যাগ করে লক্ষ লক্ষ উপভোক্তা বর্তমানে Reliance Jio বা অন্য কোনো বেসরকারি কোম্পানির সংযোগ গ্রহণ করছে। শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিএসএনএল কর্তারা উক্ত পরিস্থিতির বদল ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারানের মতে বিএসএনএলের যাবতীয় দুর্দশার জন্য দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রিলায়েন্স জিও'র ব্যবসা বাড়াতে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএলের পরিকাঠামো ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন বলে মারানের অভিযোগ। তাই পূর্বতন টেলিকম মন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও বিএসএনএল এবং এমটিএনএল (MTNL) এখনো পর্যন্ত 4G কিংবা 5G পরিষেবা চালুর ব্যাপারে সুবিধে করে উঠতে পারেনি বলে ডিএমকে সাংসদ জানিয়েছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং জিও'র (Jio) 'পোস্টার-বয়' হিসেবে কাজ করছেন বলে তার অভিমত।
খুব স্বাভাবিকভাবেই মারানের এহেন মন্তব্যের ফলে লোকসভায় শোরগোলের সৃষ্টি হয়। সভার বিজেপি সদস্যরা ডিএমকে সাংসদের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ ব্যক্ত করতে গিয়ে চেঁচামেচি জুড়ে দেন। সভার পরিবেশ শান্ত করতে অবশেষে স্পিকার ওম বিড়লা হস্তক্ষেপে বাধ্য হন। তিনি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাঝখানে সদস্যদের কোনোরকম অভিযোগ আরোপ থেকে নিবৃত্ত থাকার অনুরোধ জানান। একইসাথে তিনি তাদের নিজের রাজ্য বা নির্বাচনী ক্ষেত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উপস্থাপনের পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, বেসরকারি টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলি তুলনায় বহু যোজন পিছিয়ে থাকলেও বিএসএনএল খুব দ্রুত তাদের নিজস্ব 4G পরিষেবা চালুর ব্যাপারে তৎপর। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ সংস্থাটি সর্বভারতীয় ভাবে 4G পরিষেবা লঞ্চ করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করছে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি তাদের উন্নত 5G পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে বলে সংস্থাটির দাবী।