মহাকাশ থেকে ভারতের মাটিতে এসে পড়ল তিন তিনটি রহস্যময় ধাতব গোলক, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
বৃহস্পতিবার গুজরাতের আনন্দ জেলার তিন গ্রামে মহাকাশ থেকে আগত রহস্যময় ধাতব বস্তুর পতনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে গোলাকার আকৃতিযুক্ত বস্তুগুলি আনন্দের ভালেজ, খাম্ভোলাজ এবং রামপুরা গ্রামে আছড়ে পড়ে। তিনটি গ্রাম পরস্পরের অত্যন্ত নিকটবর্তী (পরস্পরের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত) হওয়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তে ব্যস্ত। তাছাড়া অনুসন্ধানের জন্য FSL বা ফরেন্সিক সাইন্স ল্যাবরেটরি সদস্যদেরও অনুরোধ করা হয়েছে।
মহাকাশ থেকে মাটিতে আছড়ে পড়লো রহস্যময় ধাতব বস্তু - আতঙ্কে গুজরাতের তিন গ্রাম
ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪-৪৫ নাগাদ। সেসময় হঠাৎ প্রায় ৫ কেজি ওজনের একটি বৃহদাকার কালো ধাতব বল ভালেজ গ্রামের মাটিতে আছড়ে পড়ে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার খাম্ভোলাজ ও রামপুরা গ্রামের বাসিন্দারাও সেই একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। শেষোক্ত দুই গ্রামেও মহাকাশ থেকে রহস্যময় ধাতব বস্তু পতিত হয়। কেউ হতাহত না হলেও আকাশ থেকে এহেন ধাতব বস্তুর পতনে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে।
গ্রামগুলিতে গোলাকার ধাতব বস্তু আছড়ে পড়তেই সেখানকার বাসিন্দারা স্থানীয় পুলিশের কাছে সমগ্র বিষয়টি তুলে ধরে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে মনোযোগী হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর আনন্দের পুলিশ সুপার অজিত রাজিয়ান জানা যে তিন গ্রামে পতিত রহস্যময় ধাতব বস্তুগুলি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের জঞ্জাল ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও এরা কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellite) থেকে আগত ঠিক কি ধরনের ভগ্নাবশেষ সে বিষয়ে পুলিশ এখনো অনিশ্চিত। সেজন্য তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই এফএসএল (FSL) -কে খবর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলা পুলিশের দ্বারা খবর প্রাপ্ত ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সদস্যেরা অনুসন্ধান শুরু করলে আলোচ্য ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রেও এফএসএলের তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদিও এফএসএল সদস্যেরা আসার আগেই আনন্দ জেলার পুলিশ সমগ্র ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করছে বলে পুলিশ সুপার অজিত রাজিয়ান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। একইসাথে পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।