নতুন ভয়েস কমান্ড এবং আরও ৭টি কার্যকর ফিচার পেতে চলেছেন Windows 11 ইউজাররা, আসছে আপডেট
উইন্ডোজ ১১ (Windows 11) ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! সম্প্রতি মাইক্রোসফট (Microsoft) তার লেটেস্ট-জেনারেশন অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন আপডেট আনার কথা ঘোষণা করেছে। আর এই আপডেটে সংস্থা বেশ কয়েকটি নতুন সিকিউরিটি এবং প্রোডাক্টিভিটি ফিচার অ্যাড করেছে বলে জানা গিয়েছে। চলুন, এই লেটেস্ট আপডেটে সংস্থাটি উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীদের জন্য কী কী ফিচার অফার করতে চলেছে, এখন সেগুলির ওপর একনজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
শীঘ্রই Windows 11-তে এই সমস্ত ফিচার
হ্যাকার অ্যালার্ট: এবার উইন্ডোজ ১১ একটি অত্যাধুনিক ফিশিং ডিটেকশন এবং প্রোটেকশন ফিচার পেতে চলেছে। এই নতুন ফিচারটি মাইক্রোসফ্ট ডিফেন্ডার স্মার্টস্ক্রিন (স্মার্ট স্ক্রিন)-এর একটি অংশ। যদি ইউজাররা কখনও তাদের মাইক্রোসফ্ট ক্রেডেনশিয়ালগুলি কোনো ম্যালিশিয়াস অ্যাপ বা হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইটে এন্টার করে ফেলেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের সতর্ক করবে।
স্মার্ট অ্যাপ কন্ট্রোল: নতুন আপডেটের সুবাদে উইন্ডোজ ১১-এর স্মার্ট অ্যাপ কন্ট্রোল ফিচারটি আরও উন্নত হতে চলেছে। ইউজারদের ডিভাইসে যাতে কেবলমাত্র আসল এবং বিশ্বস্ত সোর্স থেকে উদ্ভূত অ্যাপ রান করে এবং যে-কোনো অজানা সোর্স থেকে আসা অ্যাপ যাতে বাই-ডিফল্ট ব্লক হয়ে যায়, তার জন্য এই ফিচারটি মাইক্রোসফ্টের এআই মডেলের পাশাপাশি কোড সাইনিং ব্যবহার করবে।
সিস্টেম-ওয়াইড লাইভ ক্যাপশন: উইন্ডোজ ১১-এ একটি সিস্টেম-ওয়াইড লাইভ ক্যাপশন ফিচার আসতে চলেছে। এটি মূলত একটি অ্যাক্সেসিবিলিটি ফিচার, যা শ্রবণক্ষমতায় দুর্বলতাযুক্ত ব্যবহারকারীদের এবং ভাষা শিক্ষার্থী অর্থাৎ ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নারদের স্পোকেন কনটেন্ট বুঝতে সহায়তা করবে।
ভয়েস অ্যাক্সেসের মাধ্যমে কমান্ড ডিক্টেট: যে সকল ব্যক্তিদের হাত সঠিকভাবে কার্যক্ষম নয়, সেরকম ব্যবহারকারীদের জন্য এই ফিচারটি অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হতে পারে। আসলে উইন্ডোজ ১১-এ একটি নতুন ভয়েস অ্যাক্সেস ফিচার আসতে চলেছে, যার সাহায্যে কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অত্যন্ত অনায়াসে তাদের ভয়েস ব্যবহার করে নিজেদের উইন্ডোজ ১১ ডিভাইসগুলিকে কন্ট্রোল করতে পারবেন৷ ইউজাররা পিসি, ল্যাপটপ সহ অন্যান্য বিভিন্ন ডিভাইস কমান্ড ডিক্টেটের মাধ্যমে অপারেট করতে সক্ষম হবেন।
ফাইল এক্সপ্লোরারে আসছে ক্লাউড সাপোর্ট
মাইক্রোসফটের এই নতুন আপডেটে ফাইল এক্সপ্লোরারে ক্লাউডের সাপোর্ট পাওয়া যাবে। এর সুবাদে ব্যবহারকারীরা একটি সেন্ট্রালাইজড প্লেসে তাদের পিসিতে সহজেই ডেটা এবং ফাইলগুলি খুঁজে পেতে কিংবা অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবেন।
ফাইল এক্সপ্লোরারে ট্যাবের আবির্ভাব: মাইক্রোসফট ফাইল এক্সপ্লোরারে ট্যাবও চালু করছে। ফলে ব্যবহারকারীরা ফাইল এক্সপ্লোরারে ফাইলগুলি পিন করতে এবং ট্যাব তৈরি করতে পারবেন।
ভিডিও মিটিংয়ের জন্য নতুন ফিচার: ভয়েস ক্ল্যারিটি, ভয়েস ফোকাস, পোর্ট্রেট ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার, আই কন্টাক্ট, এবং অটোমেটিক ফ্রেমিং ফিচারগুলি নতুন মিটিং ফিচারের অংশ হিসেবে উইন্ডোজ ১১-এ অ্যাড করা হবে।
Windows 11 এবং Windows 365-এর মধ্যে ইন্টিগ্রেশন: মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ ১১ এবং ক্লাউড-ভিত্তিক উইন্ডোজ ৩৬৫ (Windows 365)-এর মধ্যে নতুন ইন্টিগ্রেশন সরবরাহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই ইন্টিগ্রেশনের মূল লক্ষ্য ক্লাউড পিসি এবং লোকাল পিসির মধ্যে সাবলীল মুভমেন্ট আনা, অফলাইনে কাজ করা, এবং অনলাইন হওয়া মাত্রই কোনো ডেটা না হারিয়ে সিস্টেমটির পুনরায় রিসিঙ্ক হওয়ার এবিলিটি অ্যাড করা।