Ather Energy: ই-স্কুটার ব্যবহারকারীদের পরিষেবা ফ্রি, চার্জিং স্টেশন গড়ে তুলতে এই রাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করল এথার

Avatar

Published on:

কর্ণাটকবাসীর বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করতে নয়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল ভারতের প্রথম সারির ইলেকট্রিক টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা Ather Energy। কর্ণাটকে সংস্থাটি ১,০০০টি ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং স্টেশন গড়ে তুলবে। এই মর্মে তারা সে রাজ্যের সরকারের সাথে হাত মিলিয়েছে। এই ইভি চার্জিং স্টেশনগুলি থেকে রাজ্যের সমস্ত বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে পরিষেবা পাবেন বলেও ঘোষণা করেছে Ather। গতকাল একটি টুইটের মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও তরুণ মেহতা (Tarun Mehta)।

ইভি স্টার্টআপ এথার এনার্জি (Ather Energy) বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai)-এর উপস্থিতিতে রাজ্যের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলির সাথে মৌ-স্বাক্ষর করেছে। এই প্রসঙ্গে টুইটারে মেহতা লিখেছেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই-এর সাথে অসাধারণ বৈঠক হল। চুক্তি অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে ১,০০০টি এথার ফাস্ট চার্জার গড়ে তোলা হবে। এটি বাস্তবায়িত করতে সরকারের কাছ থেকে আশ্চর্যজনক সমর্থন পেয়েছি।” তিনি আরো বলেছেন, কর্ণাটক বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশে প্রথম সারিতে রয়েছে। যার অংশ হতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।”

পাশাপাশি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, “সতেজ এবং পরিবেশ বান্ধব ক্ষেত্রে কেউ ব্যবসা করতে চাইলে, তাকে সমস্ত রকম সহায়তা করতে কর্ণাটক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা তরুণ মেহতা-র মতো যুবক এবং গতিশীল শিল্পক্ষেত্রের নেতার অধিক অংশগ্রহণ চাইছি।”

এই ইভি চার্জিং স্টেশনগুলি রাজ্য সরকার অথবা তাদের সহকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের জমিতে গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির তৈরির পাশাপাশি ইভি চার্জিং পরিকাঠামোর উন্নয়নেও জোর দিচ্ছে এথার এনার্জি। যেখানে গত কয়েক বছরে এ জাতীয় গাড়ির চাহিদা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে কয়েকটি জিনিস এখনও বাধার সৃষ্টি করছে। যেগুলির মধ্যে একটি হল অপর্যাপ্ত ইভি চার্জিং পরিকাঠামো। আর তাই কর্ণাটকের এই ক্ষেত্রটিতে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে এথার।

প্রসঙ্গত, Hero MotoCorp-এর বিনিয়োগ থাকা Ather Energy-র তামিলনাড়ুর হোসুরেকারখানা রয়েছে। এবং বর্তমানে এদের দ্বিতীয় কারখানাটি গড়ে তোলার কাজ চলছে, যাতে বার্ষিক উৎপাদনের সংখ্যা ১.২০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৪ লক্ষ করা যায়।

সঙ্গে থাকুন ➥