বাজারে যাওয়া হোক বা লং রাইড, Bajaj Dominar 400 সবেতেই পারফেক্ট, কেনার আগে সুবিধা ও অসুবিধাগুলি জেনে নিন

Avatar

Published on:

Dominar সিরিজের হাত ধরে ট্যুরিং মোটরসাইকেলের জগতে প্রবেশ করেছিল বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল এই লাইনআপের সবচেয়ে পাওয়ারফুল Dominar 400 বাইকের। নামের মধ্যেই লুকিয়ে এর সার্থকতা। চওড়া চাকা, মাসকুলার বডি, ইউএসডি ফর্ক, ডবল ব্যারেল এগজস্ট পাইপ ও সলিড পারফরম্যান্স একে প্রকৃত অর্থেই ভ্যালু ফর মানি করে তুলেছে। প্রতিদিনের যাতায়াত কিংবা দূরে কোথাও ভ্রমণ সবেতেই সমান পারদর্শী Bajaj Dominar 400।

তবে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে এ দেশে দু’বছর আগে BS-6 ইঞ্জিন বাধ্যতামূলক হওয়ার পর থেকেই দাম বাড়তে শুরু করে Dominar-সহ সমস্ত মোটরসাইকেলের। এখন ২ লাখ ২৩ হাজার টাকার কাছাকাছি দাম (এক্স-শোরুম, কলকাতা) হওয়ার কারণে নতুন মডেল নেওয়ার সাধ  থাকলেও অনেকসময় সাধ্যে কুলোয় না। যদিও হাত-ফেরতা অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল দিয়ে সাধ পূরণ করা সম্ভব। তবে পুরনো বা নতুন মডেল কেনার আগে আমাদের প্রথমেই বড় ডমিনারের ভালো ও মন্দ দিকগুলি বিচার করতে হবে।

Bajaj Dominar 400 ভালো দিক

এক কথায়, বাজাজ ডমিনার ৪০০ পুরো সলিড পারফরম্যান্স দেয়। বাইকটির অলিন্দে রয়েছে ৩৭৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড শক্তিশালী ইঞ্জিন, যা ৩৪.৫ হর্সপাওয়ার ও ৩৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। সাথে রয়েছে ৬ স্পিড গিয়ার বক্স ও স্লিপার ক্লাচ। সামনের চাকায় ৪৩ মিমি ইউএসডি ফর্ক ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে রয়েছে একটি এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ও ফুয়েল ট্যাংকের উপর ছোট আরও একটি ডিসপ্লে। টপ মডেলে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ। অন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে ফুল এলইডি হেডলাইট সেটআপ। পাওয়ার ক্রুজারের স্টাইলিং, ভাল কোয়ালিটির ফিট ও ফিনিশ, ও দুর্দান্ত কারিগরির সৌজন্যে রাস্তায় সবার নজর কাড়তে পটু এটি।

Bajaj Dominar 400 খারাপ দিক

সে ভাবে ডমিনারের তেমন খারাপ দিক প্রায় নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র বাইকটির ওজন ১৮৪.৫ কেজি, যা নতুন রাইডারদের কাছে খুব ভারী বলে মনে হতে পারে। অন্য আরেকটি নেতিবাচক দিক এর পেট্রল ট্যাংকের আয়তন। ফুয়েল ট্যাঙ্কের ১৩ লিটার তেল ধরে। ফলে দুর্গম স্থানে লং রাইডের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে৷ যদিও ট্যাঙ্ক ফুল করলে ৩৫০ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যার।

সঙ্গে থাকুন ➥