ই-কোর্ট প্রকল্প আইন ব্যবস্থাকে আরও সর্বজনগ্রাহ্য করেছে, জানালেন প্রসাদ

Published on:

মারণ ভাইরাস করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ গোটা বিশ্ব তথা ভারতের সর্বত্র ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। স্বাভাবিক জনজীবন থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেশ কিছু নিয়মের রদবদল দেখা গিয়েছে। করোনাকালে অধিকাংশ পরিষেবাই বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি তথা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাবতীয় কার্য সম্পাদিত হচ্ছে। তাই করোনাকালে অধিকাংশ কোর্ট বন্ধ থাকায় অনলাইনে আইন সংক্রান্ত কার্যাবলী চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগ দ্বারা পরিচালিত ইকোর্ট প্রকল্পের (eCourts project) প্রবর্তন করা হয়েছিল। করোনার এই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে এই প্রকল্প কতটা সফলতা লাভ করেছে সম্প্রতি সে সম্পর্কে বিশদে জানালেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

eCourts project করোনাকালে কতটা সফল

রবিশঙ্কর প্রসাদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ইকোর্ট প্রকল্প আইন ব্যবস্থায় ডিজিটাল বিপ্লব এনেছে, যা নাগরিকদের জন্য এই দুঃসময়ে আরও বেশি পরিমাণে সর্বজনগ্রাহ্য এবং অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রসাদ গত সাত বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করে একটি টুইটে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ও জেলা আদালত এবং উচ্চ আদালত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৭৪ লক্ষ মামলার শুনানি করতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে সরকারী সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল যে, মহামারীর মধ্যে আদালত যখন অনলাইনে মামলার শুনানি চালিয়ে যাচ্ছে, তখন সরকার ২৫টি উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতকে এই সুবিধা প্রদানের জন্য প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১,৫০০ টি অতিরিক্ত ভিডিও কনফারেন্সিং লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে। ভিডিও-কনফারেন্স ফেসিলিটি সফ্টওয়্যারের আইনি এবং বর্ধিত ব্যবহারের জন্য এই জাতীয় লাইসেন্সগুলির প্রয়োজন হয়।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, অবস্থানগত এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলার পাশাপাশি ডিজিটাল ন্যায়বিচার সস্তা এবং দ্রুততর বলে উল্লেখ করে সম্প্রতি আইন ও বিচার ও কর্মী সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি (Parliamentary Standing Committee on Law and Justice and Personnel) করোনা ভাইরাস মহামারী শেষ হওয়ার পরেও ভার্চুয়াল আদালত অব্যাহত রাখার আর্জি জানিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥