যদি আপনি কয়েকমাস ধরেই স্মার্টফোন কিনবেন বলে ভাবছেন কিন্তু কিনতে পারছেন না, তাহলে আপনার জন্য সুখবর। কেন্দ্র সরকার ৪ মে অর্থাৎ আগামীকাল থেকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম Amazon, Flipkart, Paytm Mall ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মকে প্রোডাক্ট বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। যদিও এই সুবিধা কেবল গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনে উপলব্ধ। রেড জোনের কোথাও এখনই প্রোডাক্ট ডেলিভারি শুরু হবে না। তাই আপনার বাড়ি যদি গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনের পিন কোডের মধ্যে পড়ে তাহলে আপনি স্মার্টফোন ছাড়াও অন্যান্য প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত ২৪ মার্চ থেকে নিজেদের পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি। পরে সরকার কেবল প্রয়োজনীয় জিনিসের ডেলিভারির অনুমতি পায় ফ্লিপকার্টের মতো কোম্পানিগুলি। যদিও এরপর বলা হয়েছিল, ২০ এপ্রিল থেকে স্মার্টফোন, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বিক্রি করতে পারবে ই-কমার্স কোম্পানিগুলি। তবে পরে তা বাতিল করা হবে।
কিন্তু এবার সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে ৪ মে থেকে গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করতে পারবে Amazon, Flipkart, Paytm Mall ও অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। অর্থাৎ ৪১ দিন পর আবার প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক জিনিস অর্ডার করা যাবে। ইতিমধ্যেই Xiaomi, Realme, Vivo, OPPO, Samsung, OnePlus সহ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি কিছু প্রোডাক্টের দাম কমিয়েছে। ফলে কম দামে প্রোডাক্ট কেনার আবার সুযোগ পাবে স্মার্টফোনপ্রেমীরা।
রেড, অরেঞ্জ ও গ্রীন জোন আসলে কি ?
আসলে সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভিত্তিতে দেশের সমস্ত জেলাকে লাল, কমলা এবং সবুজ জোনে ভাগ করেছে। সেইসমস্ত জেলাগুলিকে রেড জোনে রাখা হয়েছে যেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং নতুন রোগীর খোঁজ মিলছে। আবার যেখানে ১৪ দিনেরও বেশি সময় ধরে কোনও নতুন করোনার সংক্রমণ হয়নি, তারা অরেঞ্জ জোনে আছেন। গ্রীন জোনের জেলা সেগুলি, যেখানে গত ২১ দিনের মধ্যে সংক্রমণের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলা কোন জোনে আছে :
রেড জোন : পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা,উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কলকাতা।
অরেঞ্জ জোন : পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি।
গ্রীন জোন : বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম এবং আলিপুরদুয়ার।