CNG: পেট্রোল বা ডিজেল গাড়ি এবার প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানোর অনুমতি, সিএনজি কিট রেট্রোফিট করার প্রস্তাব কেন্দ্রের

Published on:

পরিবেশ দূষণ বা জ্বালানি খরচ কমাতে পেট্রল বা ডিজেল গাড়িতে ইভি (EV) কিট লাগানো অর্থাৎ ব্যাটারিতে চালানোর ব্যবস্থা এখন বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে৷ আবার এতদিন কেবলমাত্র বিএস-৪ গাড়িতে সিএনজি বা এলপিজি কিট রেট্রোফিট করার অনুমতি মিলতো৷ তবে এবার বিএস৬ ইঞ্জিনযুক্ত পেট্রল এবং ডিজেল গাড়িতেও সিএনজি/এলপিজি (CNG/LPG) কিট লাগানোর খসড়া প্রস্তাবনা নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবনাটিতে সায় চেয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।

উক্ত প্রস্তাবনা অনুযায়ী, দেশের যে কোনো পেট্রল চালিত যাত্রীবাহী গাড়ি এবং ৩.৫ টন ওজনের কম ডিজেল চালিত গাড়িতে এই পরিবেশবান্ধব সিএনজি/এলপিজি কিট লাগানো যাবে। সরকারের বক্তব্য গাড়িতে এই পরিবেশবান্ধব জ্বালানীর বিকল্পটি লাগিয়ে নিলে কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোকার্বনের মতো পরিবেশ দূষণের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী ক্ষতিকর গ্যাসগুলির নির্গমন বন্ধ করা যাবে।

মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট অনুযায়ী বর্তমানে বিএস৪ নির্গমন বিধির গাড়িগুলিতেই কেবল সিএনজি এবং এলপিজি কিট লাগানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এবার বিএস৬ মাপকাঠি মেনে তৈরি করা গাড়িতেও এটি লাগানোর ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এই মর্মে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মহলের কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে, যা অতি গুরুত্বের চোখেই দেখবে কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, দেশে যে হারে জ্বালানীর দাম বেড়ে চলেছে, তা থেকে রেহাই পেতে বিকল্প জ্বালানির পথ বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এতে একদিকে যেরকম খরচের ভার কমছে, পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রেও কিছুটা সহায় হওয়া সম্ভব। তবে এখন যে প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই উঠছে, তা হল আমাদের দেশে বর্তমানে সিএনজি পেট্রল পাম্পের সংখ্যা কি পর্যাপ্ত? এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM)-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ভারতের ২৯৩টি শহরে ৩,৫০০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এবং ২০২৫ ও ২০৩০-এর মধ্যে সেই সংখ্যাটি যথাক্রমে ৬,০০০ ও ১০,০০০ এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥