পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়ে গ্রহান্তরেও ছড়িয়ে পড়বে মানব সভ্যতা! Tesla কর্ণধার ইলন মাস্কের নয়া ‘মঙ্গল’ বার্তা শুনে নিন

Avatar

Published on:

অচিরেই কি পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে সুদূর মঙ্গল গ্রহেও বিস্তার লাভ করবে মানব সভ্যতা? এবার স্পেসএক্স (SpaceX) -এর কর্ণধার ইলন মাস্কের মন্তব্যে উঠে এল সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার সংকল্প-বার্তা। সদ্য এই টেক বিলিয়নেয়ারের আশ্বাস, ভয়ানক কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হলে পৃথিবীর বহু বাসিন্দাই নিজেদের জীবদ্দশায় মঙ্গলে পদার্পণ করতে পারবেন। এই ঘটনা আসন্ন ভবিষ্যতে আমাদের এক বিরল তথা অক্ষয় কীর্তির অধিকারী করবে বলেও ইলন মাস্ক দাবি করেন। আর এই বিরল কীর্তি অর্জনে তার SpaceX যে বেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে, সে ব্যাপারেও ধনকুবের মাস্ক একশোভাগ নিশ্চিত!

সদ্য জনপ্রিয় মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে (Twitter) মাস্ক পোস্ট করেন যে, সুনির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্য ছাড়া মানুষ পরস্পরের সাথে বিবাদেই মত্ত থাকবে। টেসলা (Tesla) তথা স্পেসএক্স (SpaceX) -এর কর্ণধার মাস্কের চোখে এই ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য’ ঠিক কি? তা কি মঙ্গলের বুকে মানব সভ্যতার বিস্তার, নাকি অন্য কিছু?

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, গতমাসেই ধনকুবের মাস্ক আমাদের জানান যে পৃথিবী থেকে মঙ্গলের বুকে মানুষের বাস উঠিয়ে নিয়ে যেতে, তার মালিকানাধীন স্পেসএক্স আগামীতে প্রায় ১,০০০ স্টারশিপ তৈরির কথা ভাবছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে গ্রহান্তরের মানব সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলেই টেসলা সিইও’র (CEO) বিশ্বাস।

তাছাড়া ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকে মারাত্মক ধ্বংসলীলা আরম্ভ হলে তার থেকেও যাতে জীবনকে রক্ষা করা যায়, সেজন্যেও তার স্পেসএক্স সদা প্রচেষ্টারত বলে, ধনকুবের মাস্ক দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাইবেল কথিত নোয়া’র আর্কের (Noah’s Ark) কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যা সর্বগ্রাসী বন্যার কবল থেকে ‘জীবন’কে রক্ষা করে।

পরিশেষে স্পেসএক্সের উল্লিখিত স্টারশিপ সম্পর্কে কিছু কথা বলে প্রতিবেদনটি শেষ করা যেতে পারে। জানিয়ে রাখি, SpaceX -এর আসন্ন স্টারশিপ মোট দুটি অংশ নিয়ে গঠিত হতে চলেছে, যারা হল – ১) ‘সুপার হেভি’ (Super Heavy) নামক ফার্স্ট-স্টেজ বুস্টার এবং ২) ‘স্টারশিপ’ নামক আপার স্টেজ স্পেসক্রাফ্ট।

সঙ্গে থাকুন ➥