Hyundai ও Kia-র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা গাড়ি মালিকদের, কী কারণে?

Published on:

হুন্ডাই (Hyundai) ও কিয়া (Kia) বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন জনা কয়েক গাড়ি ব্যবহারকারী। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থার কয়েকটি মডেলের গাড়িতে অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেমের ত্রুটির কারণে যে কোনো সময় অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই তাঁরা আদালতে সংস্থাদ্বয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা আনা (Santa Ana, California)-র আদালতে করা হয়েছে মামলা। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি Hyundai Santa Fe, Hyundai Tucson, Kia K900 এবং Kia Sportage – এই গাড়িগুলির ২০১৪-১৯ সালের মধ্যে উৎপাদিত মোট ৪,৮৫,০০০ টি মডেল ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। যার পশ্চাৎে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ অ্যান্টিহাইড্রোলিক ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটকে দায়ী করা হয়েছিল। আর এই ঘোষণার পরই বাধে বিপত্তি।

হুন্ডাই ও কিয়া বলেছিল, উল্লিখিত মডেলের গাড়িগুলির হাইড্রোলিক ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটটি থেকে শর্ট সার্কিটের ফলে চলন্ত অবস্থায় এমনকি স্থির অবস্থাতেও গাড়িগুলিতে আগুন লেগে যেতে পারে। সে জন্য গাড়িগুলি ব্যবহার করতে বারণ করা হয় এবং সেগুলি কোনো ফাঁকা স্থানে পার্ক করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকি ডিলারশিপগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় সেইসব গাড়িতে নতুন ফিউজ লাগিয়ে দেওয়ার জন্য।

১১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে হুন্ডাই ও তার শাখা সংস্থা কিয়া। তাদের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গাড়িতে আগুন এবং ইঞ্জিনের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই সংস্থা দু’টির মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ। এই প্রসঙ্গে গাড়ির নিরাপত্তা সম্পর্কিত অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বিগত ১৬ বছরে পর্যন্ত মোট ৭৯ লক্ষ গাড়ি এই কারণে সারাই করার জন্য ফেরত চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷

সঙ্গে থাকুন ➥