চীন কে টেক্কা দিতে এবার চিপ কোম্পানিগুলিকে ইনসেন্টিভ দেওয়ার ভাবনা মোদী সরকারের

Avatar

Published on:

স্মার্টফোন উৎপাদনে ভারতবর্ষ আজ স্বনির্ভর। মেড ইন চায়না ট্যাগের পরিবর্তে আজ প্রায় প্রত্যেকটি স্মার্টফোনের রিটেল বক্সে জ্বলজ্বল করে একটি লেখা ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের দৌলতে ভারত আজ চীনের পরই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আবার ভারত সরকার চাইছে, স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের পাশাপাশি চিপ কোম্পানিগুলিও ভারতে এসে ঘাঁটি গড়ুক। জানা যাচ্ছে, এদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি স্থাপন করলেই ভারত সরকার প্রতিটি সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিকে মোটা টাকা ‘ইনসেন্টিভ’ অফার করবে। দেশে স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলি ইন্ডাস্ট্রি ও ইলেক্ট্রনিক্স সাপ্লাই চেন আরও মজবুত করে করে তোলার জন্যই এই লোভনীয় প্রস্তাব। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দু’জন আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছেন।

মিডিয়ার সাথে কথা বলার অনুমতি না পাওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, চিপ ফ্যাব্রিকেশন ইউনিট সেটআপ করবে এমন প্রতিটি সংস্থাকে সরকার এক বিলিয়ন ডলারের বেশি নগদ আর্থিক সুবিধা দেবে। সরকারের আরও এক সূত্র বলছে, যোগ্য সংস্থাকে কীভাবে এই প্রাপ্য অর্থাদি প্রদান করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি এবং স্কিমটির বিষয়ে সরকার শিল্পপতিদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার এখন সেমিকন্ডাক্টর প্লান্ট নির্মাণের জন্য নানা আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। কারণ গত বছর অতিমারি পর্ব থেকেই অটোমোবাইল বলুন বা ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি, চিপ সংকটে পড়ে সবার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয়েছিল। যা ফের একবার চিপের জন্য তাইওয়ানের ওপর বিশ্বের অতিরিক্ত নির্ভরতাকে তুলে ধরেছে।

এদিকে গত বছর সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সর্ম্পকের অবনতি ঘটেছে। চীন বিরোধী হাওয়া শুধুমাত্র দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভারত এখন দেশের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য নির্ভররোগ্য সরবরাহকারীর প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। সূত্র জানাচ্ছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি চিপগুলি “বিশ্বস্ত উৎস” হিসেবে মনোনীত করা হবে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে ৫জি সরঞ্জাম পর্যন্ত সেগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা ভারতে কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে কীনা তা অবশ্য সূত্র জানায়নি।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥