বিমান দূর্ঘটনায় আহতদের প্রাণ বাঁচাল iPad, কীভাবে জানলে অবাক হবেন

Avatar

Published on:

বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাবা ও মেয়ের প্রাণ বাঁচালো অ্যাপল আইপ্যাড (Apple iPad)। আজ্ঞে হ্যাঁ, এতদিন Apple Watch বা iPhone ব্যবহার করার ফলে বিপদের মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। এবার জীবনদায়ী ডিভাইসের সেই তালিকায় জুড়লো iPad -এর নাম। এভাবে বারংবার মানুষের প্রাণ রক্ষা করে জনপ্রিয় সংস্থা Apple তাদের প্রযুক্তির মূল্য বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই ইউজারকে দুর্ঘটনা বা বিপদ থেকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে Apple প্রোডাক্টের সাম্প্রতিক ভূমিকা কোনো নতুন ব্যাপার নয়।

সংবাদ সংস্থা সিএনএনের (CNN) রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগ্রস্ত পিতা ও কন্যার বয়স যথাক্রমে ৫৫ এবং ১৩ বছর। তারা উভয়েই পেনসিলভেনিয়ার পিটস্টোন টাউনশিপের অন্তর্গত ভিলক্সবারি স্ক্র্যানটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেন। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভদ্রলোক স্বয়ং তাদের এক-ইঞ্জিনের বিমানটি চালাচ্ছিলেন। তবে যাত্রার শুরু থেকেই সেই বিমানে গোলযোগ দেখা দেয়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি নীচে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর বাবা ও মেয়েকে সন্ধানের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশেষ উদ্ধারকারী দল। কিন্তু তিরিশ জন সদস্যের এই দল টানা পাঁচ ঘন্টা ধরে অনুসন্ধানের পরেও বাবা-মেয়ে জুটিকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।

দুর্ঘটনাগ্রস্তদের কোনো খোঁজ না পাওয়ার ফলে সন্ধানকারীদের পক্ষ থেকে ৫৫ -বছর বয়সী বিমানচালকের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার কাছ থেকে সন্ধানকারী কর্তৃপক্ষ চালকের মোবাইল নম্বর জোগাড় করেন। সেখানে বার্তা প্রেরণের চেষ্টা করে তারা জানতে পারেন যে চালকের মেয়ের কাছে একটি অ্যাপল আইপ্যাড রয়েছে। এরপর সেই আইপ্যাডের মাধ্যমেই তারা দুর্ঘটনায় বিপন্ন বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন।

আসলে কিছু অ্যাপল আইপ্যাড ব্যবহার করে অত্যন্ত বিপন্ন পরিস্থিতিতেও এক ধরনের সংকেত প্রেরণ করা সম্ভব। এরপর সেই সংকেতের সূত্র ধরেই বিপন্ন ব্যক্তির লোকেশন বা সঠিক অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচ্য ক্ষেত্রে সন্ধানকারীরা ঠিক এভাবেই বিপদগ্রস্ত দু’জনকে উদ্ধার করেছেন।

বিমান ভেঙে পড়লেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাবা ও মেয়ে খুব বড় ক্ষতির সম্মুখীন হননি। এক্ষেত্রে তাদের কিছু সামান্য চোট-আঘাত লাগে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আকাশপথে যাত্রার সময় কিভাবে তাদের বিমান ভেঙে পড়লো তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥