একলাফে Jio-র ইন্টারনেট স্পিড অনেকটাই বাড়লো, কারণ জানালো Ookla

Avatar

Published on:

এই মুহূর্তে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) দেশের অন্যান্য টেলিকম অপারেটরদের পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। গ্রাহক ভিত্তি হোক বা পরিষেবার বিস্তার – সবদিক দিয়েই Jio ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে। তাদের ক্রমবর্ধমান সাফল্যের পিছনে একাধিক কারণ আছে। তার মধ্যে প্রধানতম কারণটি হলো এর সস্তা দরের পরিষেবা। অন্যান্য টেলিকম গোষ্ঠীর তুলনায় রিলায়েন্স জিও’র যাবতীয় অফার ও সুযোগ-সুবিধা অনেক চিত্তাকর্ষক মনে হয়। তাই মানুষ জিও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে ভালোবাসেন।

উপরের কথাগুলি সত্যি হলেও এমন নয় যে জিও’র পরিষেবা নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো ক্ষোভ নেই। অনেক সময় তাদের খারাপ সংযোগ গ্রাহকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ইন্টারনেট গতির কথা উঠলে বহু মানুষ জিও’র পরিষেবায় খুশি হতে পারেন না। তবে সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে সংস্থাটি অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহের নজির তৈরী করেছে। সমীক্ষাকারী সংস্থা Ookla -র পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিও’র গড় ইন্টারনেট গতি ছিলো মাত্র ৫.৯৬ এমবিপিএস (Mbps)। অল্পদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক শেষে এই গতি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.০৮ এমবিপিএসে (Mbps) পৌঁছেছে!

গড় ইন্টারনেট গতির এই বিপুল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রিলায়েন্সের বাণিজ্যনীতির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি তারা প্রায় ৫৮,০০০ কোটি টাকার স্পেক্ট্রাম কিনে দেশের নানা প্রান্তে সেগুলিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। স্পেক্ট্রাম ক্রয়ে এই বড় বিনিয়োগ তাদের পরিষেবার মান অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

5G পরিষেবা চালু হলে ইন্টারনেট গতি কি আরো বাড়বে?

এই প্রশ্নের উত্তর যদি দিতে হলে Ookla-র প্রতিবেদনে নজর রাখতে হবে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশের বাজার বিশ্লেষণের পর তারা যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে, সেখানে 5G পরিষেবা আগমনের ফলে গড় ইন্টারনেট গতি বাড়ার ইঙ্গিত মিলছে। এক্ষেত্রে নিশ্চিত গতি কত হবে তা বলা না গেলেও পরিষেবার দ্রুততা অন্তত ১০ গুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে!

সত্যিই গড় ইন্টারনেট গতি এতটা বাড়লে 4G ব্যবস্থার তুলনায় 5G -তে মানুষ অনেক উন্নত পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবে। বর্তমানের তুলনায় ১০ গুণ গতি বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে গ্রাহকের পক্ষে অন্তত ১৩০ এমবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব হবে! যদিও এক্ষেত্রে কল্পনায় লাগাম পরানো প্রয়োজন, কারণ Ookla-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে ৫৪.৫ শতাংশ ভারতীয় উপভোক্তা মাত্র ৫ এমবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান!

সুতরাং নতুন স্পেক্ট্রাম বরাদ্দ হোক বা 5G ব্যবস্থার আবির্ভাব – দেশীয় টেলিকম গোষ্ঠীগুলির ভালো পরিষেবার প্রতিশ্রুতি কতটা সাফল্য পাবে সেটা সময়ই বলবে। তবে তুলনামূলকভাবে দেরীতে আসার জন্য ভারতে 5G পরিষেবা ব্যবহারের খরচ অনেক কম হবে বলে টেলিকম মহলের অভিমত।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥