সস্তা JioPhone Next কি হবে গেম চেঞ্জার? কি বলছে রিপোর্ট জানুন

Avatar

Published on:

ভারতের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম ব্র্যান্ড Reliance Jio সম্প্রতি তাদের অ্যানুয়াল মিটিংয়ে একটি নতুন স্মার্টফোনের ঘোষণা করেছে। জানা গেছে, JioPhone Next নামের এই ৪জি কানেক্টিভিটি সাপোর্টের স্মার্টফোনটির বিক্রি শুরু হবে আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে। সেক্ষেত্রে, আপকামিং এই হ্যান্ডসেটের দাম এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে যতটুকু খবর পাওয়া গিয়েছে, তার থেকে আন্দাজ করা যায় যে লঞ্চ-পরবর্তী সময়ে এটি ভালোই সাড়া ফেলতে চলেছে স্মার্টফোন বাজারে। যদিও, জিও -এর এই স্মার্টফোন সম্পর্কে Canalys -এর দাবি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই গ্লোবাল টেক মার্কেট অ্যানালিস্ট ফার্মটির ভবিষ্যদ্বাণী কিছুটা এই রকম যে, রিলায়েন্স জিও -এর এই বাজেট স্মার্টফোন স্বল্প সময়ের মধ্যে ‘গেম-চেঞ্জার’ রূপে বাজার দখল করতে সক্ষম হবে না। আর এর কারণ স্বরূপ ক্যানালিস জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে চিপ সাপ্লাইয়ের ঘাটতি এবং জরুরি কম্পোটেন্টগুলির ক্রমবর্ধমান দামের কারণে জিও -কে ‘গুরুতর সমস্যার’ সম্মুখীন হতে হবে।

JioPhone Next এর গেম-চেঞ্জার হওয়ার পথে বাধা

গত দেড় বছর ধরে করোনা অতিমারীর কারণে স্পষ্টতই প্রতিটি ফোন নির্মাতারা, সাপ্লাই চেন, কম্পোনেন্টের ঘাটতি এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত সমস্যার দ্বারা জর্জরিত হচ্ছেন। আর এই প্রত্যেকটি সমস্যার প্রভাব যে জিও এবং তাদের আসন্ন জিওফোন নেক্সট ডিভাইসটির ওপরও পড়বে তা অনুমান সাপেক্ষ। এই প্রসঙ্গে ক্যানালিসের মত, প্রথম কয়েক বছর জিও -কে কম দামে তাদের হ্যান্ডসেটকে বিক্রি করতে হবে এবং ৫০ ডলার (প্রায় ৩,৭২৭ টাকা) ক্যাটাগরিতে নিজেদের জায়গা সুরক্ষিত করতে হবে। এমনটা করলে টেলিকম সংস্থাটি দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাজারে টিকে থাকতে পারবে। তবে, কম্পোনেন্ট সংক্রান্ত এই সমস্যাটি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে জিও এবং তাদের স্থানীয় নির্মাতা অংশীদারদের জন্য এটা একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় বাজারে প্রতিষ্ঠিত বাজেট-রেঞ্জ ফোন নির্মাণকারী অনেক সংস্থারই নিজস্ব স্থানীয় উত্পাদন কারখানা রয়েছে। এই সমস্ত সংস্থাগুলি যেখানে একটা সময়ে ভালো মুনাফা ঘরে তুলত, সেখানেই তৎকালীন পরিস্থিতির কারণে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

ক্যানালিসের মন্তব্য অনুযায়ী, ভারতের মতো জনবহুল দেশে বাজেট ফোনের ব্যাপক চাহিদা আছে। যদিও বাজার পেতে এই ফোনগুলির বিল্ট-কোয়ালিটি ভালো হওয়া খুবই জরুরি। যাতে, আফটার-সেল সাপোর্ট ছাড়াই এগুলি নূন্যতম চার বছর পর্যন্ত ভালো পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে। সুতরাং, জিওফোন নেক্সট-এ উপযোগী ফিচার, দুর্দান্ত বিল্ড কোয়ালিটি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের মতো মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি থাকতেই হবে। এই সমস্ত গুণাবলী থাকলে তবেই একটি বাজেট ফোন বাজারে নিজের জায়গা বানাতে পারবে।

তদ্ব্যতীত, এই টেক মার্কেট অ্যানালিস্ট ফার্মটি তাদের রিপোর্টে অপর একটি চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেছে। ক্যানালিসের মতে, যেদেশে জনসংখ্যা অনেক, সেই দেশে ভোক্তাদের বার্ষিক আয়ও কম থাকে। ফলত, JioPhone Next স্মার্টফোনটি লঞ্চ হওয়ার পর প্রথমার্ধে তেমন আশানুরূপ সেল নাও লাভ করতে পারে। তবে, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জিও -এর এই হ্যান্ডসেটটির বিক্রয় কার্য তুলনামূলক ভাবে উন্নত হবে বলে অনুমান করেছে ক্যানালিস।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥