Kia Carens: পেট্রোলের চেয়ে ডিজেল মডেলের বুকিং বেশি, কিয়া এত চাহিদার কারণ নিয়ে যা জানাল

Avatar

Published on:

সম্প্রতি ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে Kia Carens। মডেল অনুযায়ী গাড়িটির এক্স-শোরুম মূল্য ৮.৯৯-১৬.৯৯ লক্ষ টাকা। কিয়া জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা এই গাড়িটির ১৯,০০০-এর অধিক বুকিং পেয়েছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ ডিজেল ভ্যারিয়েন্ট কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখন যে প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই মনে জাগতে পারে তা হল, পেট্রল ভ্যারিয়েন্টের দাম কম হওয়া সত্ত্বেও এর ডিজেল সংস্করণটির বুকিং বেশি কেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে সংস্থার সহ-সভাপতি এবং সেলস-এর প্রধান হারদীপ সিং ব্রার (Hardeep Singh Brar) বলেছেন, “কারণ এই বিভাগে ডিজেল ইঞ্জিনের খুব বেশি বিকল্প বাজারে উপলব্ধ নেই। আমরা পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি, মোট বুকিংয়ে ডিজেল মডেলের অবদান ৫০ শতাংশের বেশি৷” উল্লেখ্য, গাড়িটির ডিজেল ভ্যারিয়েন্টের মাইলেজ পেট্রোলের তুলনায় বেশি৷ এতএব, বেশি বুকিংয়ের পিছনে ফুয়েল এফিশিয়েন্সিও একটা কারণ হতে পারে৷

আবার মূল্যের নিরিখে কিয়া কারেন্স (Kia Carens)-এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হল মারুতি সুজুকি আর্টিগা (Maruti Suzuki Ertiga), এক্সএল৬ (XL6) এবং মাহিন্দ্রা মারাজ্জো (Mahindra Marazzo)। প্রথম দুটি মডেল পেট্রল এবং সিএনজি ভার্সনে মিললেও, মারাজ্জো গাড়িটি কেবলমাত্র ডিজেল ইঞ্জিনের বিকল্পেই উপলব্ধ। কারেন্স আবার সাশ্রয়ের দিক দিয়ে পেছনে ফেলেছে ইনোভা ক্রিস্টা (Innova Crysta) এবং হুন্ডাই আলকাজার (Hyundai Alcazar)-কে। কারণ এই দুটি গাড়িই কারেন্স-এর তুলনায় উচ্চমূল্যের।

ব্রার আরও জানিয়েছেন, Kia Carens-এর টপ-এন্ড বা প্রিমিয়াম মডেলটির চাহিদা মোট বুকিংয়ের ৫০ শতাংশের অধিক। এছাড়া নিজেদের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “গত বছর ভারত এবং বিদেশে রপ্তানি মিলিয়ে আমরা মোট ২,২৫,০০০ টি গাড়ি তৈরি করেছিলাম। এ বছর আমরা ৩,০০,০০০ ইউনিট গাড়ি তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি।”

এদিকে বর্তমানে Kia Carens বুকিং করার পর গাড়ির চাবি হাতে পেতে ১৪ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহকদের। তবে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে অপেক্ষার মেয়াদ কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥