Kinetic Scooter: এক সময় দেশের স্কুটার মার্কেট কাঁপানো ব্র্যান্ড বাজারে ফিরছে, এবার তৈরি করবে ইলেকট্রিক টু-হুইলার

Avatar

Published on:

Kinetic making Electric Two Wheelers

পূর্বে ভারতের বাজারে কেবল গিয়ার যুক্ত স্কুটার উপলব্ধ ছিল। বাঁ হাতে ক্লাচ ও গিয়ার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আসে গিয়ারলেস স্কুটার। ধীরে ধীরে স্কুটারের দুনিয়ায় ‘গিয়ার’ শব্দটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যাদের সর্বাধিক অবদান, তারা হল এককালের অতি জনপ্রিয় সংস্থা কাইনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড বা কেল (KEL)। যাদের হাত ধরে ভারতের প্রথম গিয়ার ছাড়া স্কুটার Kinetic এসেছিল। যদিও প্রতিযোগিতায় পরে টিকতে না পেরে বাজার থেকে বিদায় ঘটেছিল তাদের। তবে এবার নয়া উদ্যমে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে কাইনেটিক। কামব্যাক ইনিংস ইলেকট্রিক স্কুটার দিয়ে শুরু করতে চলেছে তারা।

ইলেকট্রি টু-হুইলার নির্মাণের জন্য একটি নতুন শাখা সংস্থা গড়ে তুলেছে কাইনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। যার ৫১ শতাংশে মালিকানা তাদের হাতে। নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম এখনও অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি। আসলেঅভারতের বৈদ্যুতিক বাজারকে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখে নতুনভাবে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সংস্থার বোর্ড মিটিংয়ে ইলেকট্রিক টু-হুইলার বাজারে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

যেহেতু কাইনেটিক এখন দু’চাকা বৈদ্যুতিক গাড়ির অ্যাক্সেল, গিয়ারবক্স, ফ্রেম সহ নানাবিধ যন্ত্রাংশ উৎপাদন করছে, তাই সম্পূর্ণ ই-স্কুটার নির্মাণে বিশেষ বেগ পেতে হবে না তাদের। সংস্থাটি তাদের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেবে, যাতে উন্নত মানের ই-স্কুটার লঞ্চ করে বাজার ধরতে সুবিধা হয়। এই প্রসঙ্গে কাইনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিঙ্কা ফিরোদিয়া মন্তব্য করেন, “গত এক বছরে ভারতে ইলেকট্রিক টু-হুইলার বিক্রি ৩,৫৬,০০০ ইউনিট পার‌ করেছে। এবং বৈদ্যুতিক তিন চাকার গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২,২৩,০০০।”

তাঁর কথায়, বিশ্ববাজারে ও নামিদামি সংস্থাগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে পা রাখছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহনে পরিবর্তনের এই ধারার একটি স্বচ্ছ এবং জোরালো লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। আমরা আমাদের সহকারী সংস্থার সাথে নতুনভাবে পথচলা শুরু করার ঘোষণা করতে পেরে খুশি।

আজিঙ্কা যোগ করেন, “৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যানবাহন নির্মাণ এবং মার্কেটিংয়ের অভিজ্ঞ সংস্থা হিসেবে কাইনেটিক এই বৈদ্যুতিক সেগমেন্টে অবশ্যই উন্নতির মুখ দেখবে। উদ্ভাবনের নেতৃত্বস্থানীয় সংস্থা হিসেবে সংস্থার বরাবর নজর অটোমেটিভ মেগা ট্রেন্ডস-এর দিকে। যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেল সহকারী সংস্থার সাথে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়।” আবার, ভবিষ্যতে নতুন পণ্য আনতে বিভিন্ন কাঁচামাল এবং আর্থিক দিক থেকে সহায়তা করবে সহকারী সংস্থাটি বলে জানান তিনি।

সঙ্গে থাকুন ➥