Electric Bus: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে কলকাতায় ২,০০০টি ইলেকট্রিক বাস চালু করবে CESL

Avatar

Published on:

খুব শীঘ্রই কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে চালু হতে চলেছে ১,৫০০টি ইলেকট্রিক বাস। কেন্দ্রের ‘গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ প্রকল্পের অধীনে এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে। এই মর্মে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কনভার্জেন্স এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (CESL) সম্প্রতি ৫,৫০০ কোটি টাকার দরপত্র ডেকেছে। যার অধীনে কেনা হবে ৫,৫৮০ টি বৈদ্যুতিক বাস। এর মধ্যে আবার ১৩০টি হল দোতলা বাস।

এই প্রকল্পের আওতায় বেঙ্গালুরুতে ১,৫০০টি ই-বাস চালু করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কলকাতার জন্যও রয়েছে সুখবর, এ রাজ্যের রাজধানীতে চালু হতে পারে সবচেয়ে বেশি (২,০০০টি) পরিবেশবান্ধব বাস। অন্যদিকে দিল্লি, হায়দ্রাবাদ এবং সুরাটের রাস্তায় চালানো হতে পারে যথাক্রমে ১,৫০০টি, ৩০০টি ও ১৫০টি বাস।

গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জের অধীনে দেশের ৯টি শহরে (যেখানকার জনসংখ্যা ৪০ লক্ষের অধিক) এই ধরনের বাস চালু হওয়ার কথা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে উল্লিখিত পাঁচটি শহরেই চালু হতে চলেছে এই পরিষেবা। এই প্রসঙ্গে সিইএসএল এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এর ফলে শহরের চলাচলের খরচ হ্রাস পাবে। এবং রাষ্ট্রীয় পরিবহণের উদ্যোগে ই-বাস সংগ্রহে বাধা দূর করবে।”

অন্যদিকে বিএমটিসি (BMTC)-ও এই ধরনের বাস কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বিএমটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি আনবু কুমার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা আগামী তিন বছরের মধ্যে ১,৫০০টি নন-এসি লো-ফ্লোর বাস চালু করার পরিকল্পনা করছি। এগুলি ভাড়া নেওয়ার বদলে আমরা কিনতেই অধিক ইচ্ছুক। বেসরকারি সংস্থার তুলনায় আমাদের রয়েছে অধিক অভিজ্ঞ চালক এবং কর্মী। আমরা এই প্রসঙ্গে CESL-এর সাথেও আলোচনা করছি।” তিনি এও জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর পর থেকে বাতানুকূল বাসের চাহিদা নেই।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ইলেকট্রিক বাস পিছু ৫৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু রাজ্যগুলি এখনো পর্যন্ত এই ভর্তুকির অংশে নিজেদের প্রতিদান সম্পর্কে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥