বাইক বা স্কুটার নিয়ে বেরোলে কী কী কাগজপত্র সঙ্গে রাখলে জরিমানা এড়ানো যাবে, জেনে নিন

Published on:

কাছেপিঠে হোক বা দূরপাল্লার পথ, টু-হুইলারে চেপে রাস্তায় বেরোলে সবার প্রথম যেই বিষয়গুলি সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হয় তা হচ্ছে হেলমেট পরিধান এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সাথে রয়েছে কিনা। ভুলবশত যদি তা না থাকে, তবে কপালে জুটতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানা। তবে শুধু কাগজপত্র সাথে রাখলেই চলবে না, দেখতে হবে সেগুলি আপ টু ডেট রয়েছে কিনা। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনই বিশেষ প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, টু-হুইলার নিয়ে বাইরে বের হলে যেগুলি সঙ্গে রাখতেই হবে।

টু-হুইলার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (Two-Wheeler Registration Certificate)

স্থানীয় আরটিও অফিস থেকে আপনার বাইকট মোটরসাইকেলটি আদৌ নিবন্ধিত হয়েছে কিনা, তার একমাত্র প্রমানপত্র হল রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্রটি। এতে টু-হুইলারের ক্যাটেগরি, চ্যাসিস এবং ইঞ্জিন নাম্বার সহ একাধিক তথ্য থাকে। নির্দিষ্ট সময় পর এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে, পুনরায় এটি নবীকরণ করতে হয়। তাই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সাথে রাখা ভীষণ জরুরী।

ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving Licence)

চালক কোন ধরনের যানবাহন চালানোর যোগ্য, তা ড্রাইভিং লাইসেন্সের উল্লেখ থাকে। যেমন – চার চাকার, তিন চাকার, দু’চাকার গাড়ি ইত্যাদি। ট্রায়াল রান পাস করার পরই একজনকে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি প্রদান করা হয়ে থাকে। এটিও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর রিনিউ করতে হয়। তাই এটা ছাড়া টু-হুইলারে রাস্তায় বেরোলে জরিমানা গুনতে হতে পারে।

বীমা পলিসি (Insurance Policy)

আইন অনুযায়ী রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরোলে ইন্সুরেন্স পলিসি অতি আবশ্যক। এতে বীমাকারীর নাম, টু-হুইলারের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, বীমার শর্তাবলী এবং বীমার শেষ তারিখ উল্লেখ থাকে। এছাড়া আরো অন্যান্য তথ্য দেওয়া থাকে এতে।

পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল সার্টিফিকেট (Pollution Under Control Certificate)

যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। তাই তার দেখা খুবই জরুরি। এই শংসাপত্রটি নির্গমনের পর্যায় সম্পর্কে জ্ঞাত করে। নির্গমন এর মাত্রা সরকারের ধার্য পরিসীমার থেকে কম হওয়া উচিত। যদি দূষণের শংসাপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থাকে, তবে যত শীঘ্র সম্ভব তা রিনিউ করিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

ভেহিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট (Vehicles Fitness Certificate)

টু-হুইলারটি রাস্তা নিয়ে বেরোলে সেটির সর্বোত্তম অবস্থা থাকা উচিত। আরটিও অফিসে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। যদি নির্গমনের মাত্রা অত্যাধিক হয়, তবে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া থেকে বিরত থাকে আরটিও।

চালকের মেডিকেল সার্টিফিকেট (Rider’s Medical Certificate)

৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বের চালকদের টু হুইলার চালাতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখা জরুরী। যেখানে রেজিস্টার্ড নম্বর সহ চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥