চমকে যাবে গোটা দুনিয়া! প্রকাশ্যে Meta-র আসন্ন VR হেডসেট Project Cambria-র প্রথম ঝলক

Avatar

Published on:

Project Cambria: বর্তমান সময়ে টেক দুনিয়ার সর্বাধিক চর্চিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল Metaverse (মেটাভার্স)। এটি আদতে পৃথিবীর মধ্যেই অন্য আর-এক পৃথিবী। Meta (মেটা)-র প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের (Mark Zuckerberg) কথায়, Metaverse-ই অদূর ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের উত্তরসূরী হতে চলেছে। আর তাই এই ভার্চুয়াল জগতকে আরও ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করার লক্ষ্যে সংস্থাটি একটি বিশেষ ডিভাইস নিয়ে আসতে চলেছে। সম্প্রতি জুকারবার্গের সেই হাই-এন্ড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) হেডসেট Project Cambria (প্রজেক্ট ক্যাম্ব্রিয়া)-রই প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে এল।

Eoherew মেটা তার আসন্ন হেডসেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের উপর আলোকপাত করে একটি শর্ট ভিডিও রিলিজ করেছে যার থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আসন্ন হেডসেটটি হাই রেজোলিউশন, ফুল কালার পাসথ্রু সাপোর্টসহ আসবে। এটিকে ভার্চুয়াল অবজেক্টের সাহায্যে কানেক্ট করা যেতে পারে। আর এটি রিয়েল-লাইটে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করবে। গত বছরের শেষের দিকেই সংস্থাটি এই হেডসেটটি লঞ্চের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক ভিডিও রিলিজের পর স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নির্মিত এই গ্যাজেটটি হাতে পেতে সাধারণ মানুষকে আর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।

কেন Project Cambria-কে মেটাভার্সের এন্ট্রি গেট বলা হচ্ছে?

প্রজেক্ট ক্যাম্ব্রিয়া আসলে একটি ভিআর (VR) হেডসেট, যা বর্তমানে বিকাশের অধীনে রয়েছে এবং সম্ভবত আগামী বছরের মধ্যেই এটি সর্বসাধারণের জন্য লঞ্চ করা হবে। আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে, ভার্চুয়াল মিটিংয়ের জন্য যেমন ল্যাপটপ এবং মোবাইলের প্রয়োজন হয়, তেমনি মেটাভার্স ওয়ার্ল্ড এক্সপিরিয়েন্সের জন্য প্রজেক্ট ক্যাম্ব্রিয়ার দরকার পড়বে। এটিকে একটি ভিআর হেডসেট বলা হলেও এটি মিক্সড-রিয়েলিটির (AR/VR হাইব্রিড) ওপর ফোকাস করে কাজ করতে সক্ষম। ইউজাররা ভার্চুয়াল অফিসের জগতে প্রবেশের জন্য এই হেডসেটটি ব্যবহার করবেন। এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) ব্যবহার করে তারা ক্লাউড ওয়ার্কস্টেশনগুলিতে কাজ করতে পারবেন।

থাকবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ

সম্প্রতি রিলিজ হওয়া টিজার ভিডিও দেখে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, ক্যাম্ব্রিয়া মেটার বিদ্যমান হেডসেটগুলির (যেমন Oculus Quest 2) চেয়ে অনেক বেশি উন্নত মানের হতে চলেছে। এতে হাই-রেজোলিউশনের কালার পাসথ্রু, আই ট্র্যাকিংয়ের পাশাপাশি ফেস ট্র্যাকিং ফিচার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আসন্ন হেডসেটে এমন কিছু সেন্সর থাকবে যা রিয়েল-টাইমে মানুষের মুখের অভিব্যক্তিগুলি ক্যাপচার করতে পারবে। তদুপরি, প্রজেক্ট ক্যাম্ব্রিয়ায় প্যানকেক লেন্সের দেখা মিলবে যা হেডসেটের ডিজাইনকে বেশ খানিকটা ইমপ্রুভ করবে।

জুকারবার্গ আরও ঘোষণা করেছেন যে, The World Beyond নামক একটি ডেমো খুব শীঘ্রই Quest 2-এর App Lab-এ ডেভেলপারদের জন্য উপলব্ধ হবে। ভিআর হেডসেটগুলিতে মিক্সড রিয়েলিটি কীভাবে কাজ করবে, তা বিশদে ব্যাখ্যা করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে এটি। ফলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে চমকে দিতে মার্ক জুকারবার্গ যে বেশ ভালোরকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।

সঙ্গে থাকুন ➥