জলবায়ুর পরিবর্তন পৃথিবীতে সৃষ্টি করবে এক নতুন ভূখন্ড, জানাল NASA-র গবেষণা

Published on:

একথা সকলেই জানেন যে লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের পৃথিবী তার আজকের রূপে এসে পৌঁছেছে। যদিও সেখানেই তার বিবর্তন থেমে যায়নি। বরং আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এর পরিবর্তন ক্রিয়াশীল যা সুদূর ভবিষ্যতে গ্রহের চালচিত্র সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আজ থেকে ২০০ অথবা ২৫০ মিলিয়ন বছর পরে এক নতুন পৃথিবীর অভ্যুদয় হওয়া অনিবার্য।

টেকটনিক পাতের সংঘর্ষের ফলে নিয়মিতভাবে বদলাচ্ছে পৃথিবীর রূপ?

আজ্ঞে হ্যাঁ, নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, টেকটনিক পাতগুলির মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীর ভৌগলিক চিত্র ফের আমূল বদলে যেতে পারে। তবে সে লক্ষ লক্ষ বছরের প্রক্রিয়া। মনে রাখতে হবে, আমাদের ভূ-পৃষ্ঠ এই বিশালাকার পাতগুলির উপরেই দাঁড়িয়ে আছে। এদের নড়াচড়া এবং সংঘর্ষের কারণেই পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা প্রাপ্তি। এভাবেই প্রাচীনকালের আদি ভূখন্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন মহাদেশ তৈরী হয়েছে। ভবিষ্যতে মহাদেশ গুলি জুড়ে গিয়ে ফের এক বিরাট ভূখন্ডের জন্ম হতে পারে। নিরক্ষরেখার কাছাকাছি বা সামান্য উত্তরে আলোচ্য ভূখন্ড স্থান পাবে বলে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

টেকটনিক পাতের স্থান পরিবর্তন ছাড়া সূর্যের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও পৃথিবীর আবর্তন গতিতে পরিবর্তনের ফলে আগামীদিনে গ্রহের আবহাওয়া ও জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রার মধ্যে কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াসের তফাৎ থাকবে বলে বিজ্ঞানীদের দাবী।

সুদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর জলবায়ু সংক্রান্ত ধারণা আন্দাজের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা মূলত দুটি মডেলের কথা উল্লেখ করেছেন। ভূসংস্থানগত পরিবর্তনের সঙ্গে এই জলবায়ু পরিবর্তনের অত্যন্ত নিবিড় সংযোগ থাকবে। আবার পূর্বের উল্লেখ অনুযায়ী অন্যান্য কারণেও জলবায়ুর বদল ত্বরান্বিত হবে। এক্ষেত্রে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে অরিকা (Aurica) অথবা অ্যামাশিয়া (Amasia) নামক নতুন ভূখন্ড তৈরী হতে পারে। অরিকা নিম্ন অক্ষাংশ বিশিষ্ট বিপুলাকৃতি মহাদেশ, যেখানে অ্যামাশিয়া অপেক্ষাকৃত উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত। এই দুই পৃথক ভূখন্ডের মধ্যে ভবিষ্যতে যেকোন একটির আবির্ভাব ঘটবে। সেক্ষেত্রে দুটি ভূখন্ডের জলবায়ুগত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা হবে।

ভূসংস্থানগত পরিবর্তনের বিষয়ে গবেষণার মধ্যে দিয়ে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মতো অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের পক্ষে উপযোগী জলবায়ুগত অবস্থার ব্যাপারে আভাস পেয়েছেন। এর ফলে আগামী দিনে পৃথিবীর পাশাপাশি মানুষের বসবাসের পক্ষে উপযুক্ত নতুন কোন গ্রহের সন্ধানের কাজ দিশা পাবে বলে বিজ্ঞানীমহলের বক্তব্য।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥