ক্যাশ অন ডেলিভারি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন প্রতারণা, অবশ্যই সাবধান হয়ে যান

Avatar

Published on:

ক্রমবর্ধমান অনলাইন ব্যবসার সুযোগ নিয়ে প্রতারণাকারীরা মানুষকে ঠকাবার নতুন উপায় নিয়ে হাজির হয়েছে। এক্ষেত্রে মুহূর্তের অসচেতনতার ফলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। বড় বড় ই-রিটেইল সংস্থা থেকে শুরু করে ছোট-মাঝারি প্রতিষ্ঠানের নাম করে মানুষকে বোকা বানানোর এই চক্রের এখন রমরমা। এমনকি কস্মিনকালেও যে প্রোডাক্টের অর্ডার আপনি করেননি, তার জন্যই আপনার হাজার হাজার টাকা গচ্ছা যেতে পারে! শুধু তাই নয়, রঙীন মোড়কে ফাঁকা পার্সেল ক্রেতার হাতে তুলে দিয়ে জালিয়াতেরা নিমেষে চম্পট দিচ্ছেন। কার্যত বিভিন্ন সংস্থার ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ বা সরবরাহকারী সেজেই চলছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। কিছুদিন আগে ধাপ্পাবাজেরা ঠিক এভাবেই ক্রেতার হাতে আইফোনের (iPhone) বদলে সাবানের বাক্স তুলে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে!

সুতরাং অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে এখন যে প্রত্যেকেরই একটা অতিরিক্ত সচেতনতা প্রয়োজন রয়েছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ মানুষ ঠকানোর নিত্যনতুন ফন্দি আঁটার ব্যাপারে জালিয়াতেরা রীতিমতো সক্ষম। যেমন ইদানীং তারা বিভিন্ন নামী-অনামী ই-রিটেইল সংস্থার প্রতিনিধি সেজে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পণ্য ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তারা অনলাইনে টাকা দাবী করছে। এর ফলে যারা একটু অসচেতন বা অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে কিছুটা অনভিজ্ঞ, তারা ব্যাপক দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। কেননা পেমেন্ট করতে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তার ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থ সাফ হয়ে যাচ্ছে, বিনিময়ে হাতে আসছে নকল পার্সেল!

মানুষকে ঠকানোর ব্যাপারে প্রতারকেরা এতটাই মরিয়া যে ক্রেতা বাড়িতে উপস্থিত না থাকলে তারা অন্যান্য আত্মীয়স্বজন, এমনকি প্রতিবেশীর কাছ থেকেও টাকা চেয়ে বসেছেন! তাই হঠাৎ করে কোনো প্রোডাক্টের অনলাইন ডেলিভারির ব্যাপারে কল বা এসএমএস পেলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা না মিটিয়ে আগে ঠিক করে যাচাই করুন। তা না করলে অবশ্য প্রতারিত হতে বেশী সময় লাগবে না।

আরেকধরনের জালিয়াতির ক্ষেত্রে লোকঠকিয়েরা লকডাউনের অজুহাত ব্যবহার করছে। এতদিন পর্যন্ত লকডাউনের জন্য নানা জাতীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের সর্বত্র খুব ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। ফলে দ্রুত প্রোডাক্ট ডেলিভারির কথা বলে প্রতারকেরা অনেকসময় ক্রেতার কাছে অতিরিক্ত অর্থ দাবী করছে। তবে বড় অর্থমূল্য নয়, বরং প্রোডাক্টের ডেলিভারি চার্জ হিসেবে তারা মাত্র দশ বা কুড়ি টাকা চাইছেন যা নাকি অনলাইন ছাড়া অন্য কোন উপায়ে পরিশোধ করার বিকল্প নেই! টাকার অঙ্ক কম হওয়ায় এক্ষেত্রে অনেকেই পেমেন্টের বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছেন। এজন্য অপরপক্ষের প্রেরিত লিঙ্কে ক্লিক করার সাথে সাথেই ক্রেতার ব্যাঙ্কিং বা ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রতারকের হস্তগত হচ্ছে যার ফলে ক্রেতারা অচিরেই বড়োসড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥