Plants in Moon Soil: এই প্রথম চাঁদের মাটিতে ফসল ফলালেন বিজ্ঞানীরা

Avatar

Published on:

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) এবং ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় বিরল প্রাপ্তি! ইতিহাসে এই প্রথমবার চাঁদের মাটিতে জন্ম নিল সবুজ চারাগাছ। আজ্ঞে হ্যাঁ, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই ঘটনা উক্ত সংস্থার যৌথ প্রকল্পে কার্যরত বিজ্ঞানীদের পর্যন্ত হতবাক করে দিয়েছে। চাঁদ থেকে সংগৃহীত মাটিতে এহেন সবুজ জন্মাবার ঘটনা যে আগামীদিনে মহাকাশ অন্বেষণে আরো নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

উল্লেখ্য, আলোচ্য গবেষণার জন্য NASA এবং ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা অ্যাপোলো ১১, ১২ ও ১৭ মিশন থেকে প্রাপ্ত মাটির নমুনা ব্যবহার করেছেন। প্রাপ্ত নমুনায় তারা আরাবিডপসিস নামক এক ধরনের সর্ষে জাতীয় উদ্ভিদ ফলাতে সফল হয়েছেন। বলা বাহুল্য, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী সাফল্য।

কিভাবে চাঁদের মাটিতে সবুজ ফলালেন বিজ্ঞানীরা, জেনে নিন

প্রতিটি উদ্ভিদ ফলানোর জন্য গবেষক দল এক গ্রাম চাঁদের মাটি গ্রহণ করেছেন। এক একটি টেরারিয়াম বাক্সে সেই মাটি নিয়ে এরপর তার মধ্যে গাছের বীজ এবং জল যোগ করা হয়েছে। সর্বোপরি এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সব বাক্সগুলিকে একটি পরিষ্কার ঘরে রেখে পরিপোষণের জন্য প্রতিদিন তার মধ্যে একটি বিশেষ মিশ্রণ যোগ করা হয় বলে NASA -র তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এরপর দু’দিনের মধ্যেই বীজগুলিকে অঙ্কুরিত হতে দেখা যায়, যা প্রত্যক্ষ করে বিজ্ঞানী এবং গবেষণাকারীরা নিজেদের বিস্ময় গোপন রাখতে পারেননি।

নাসার সহযোগী হিসেবে আলোচ্য প্রকল্পে শামিল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত হর্টিকালচারাল সায়েন্সেস বা উদ্যানপালন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপিকা অ্যানা-লিসা পল জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে সবুজ জন্মাতে দেখে “আমরা যে কতটা আশ্চর্য হয়েছি তা বলে বোঝাতে আমি অক্ষম।” তাছাড়া সংগৃহীত নমুনায় জন্মানো প্রতিটি উদ্ভিদকে প্রায় ছয় দিন পর্যন্ত একইরকম দেখিয়েছে বলেও তিনি জানান।

তবে ছয় দিনের পরে গবেষকেরা বুঝতে পারেন যে চাঁদের মাটিতে জন্মানো সবুজ উদ্ভিদগুলি আমাদের গ্রহে বেড়ে ওঠা গাছের মতো পুষ্ট নয়। তাছাড়া এদের বৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত ধীর এবং শিকড়ও তেমন পোক্ত নয়। সর্বোপরি এদের পাতাগুলিও খুব একটা সতেজ নয় এবং সেগুলিতে লাল ছোপ ছোপ দাগ চোখে পড়েছে। কিন্তু এই ফলাফলে বিজ্ঞানীরা কোনওভাবেই দমতে রাজি নন। ভবিষ্যতেও তারা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ থেকে সংগৃহীত নমুনা ব্যবহার করে মহাকাশ গবেষণার ধারাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে নাসার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥