Purvanchal Expressway: সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকায় তৈরি পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে কেন গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন

Avatar

Published on:

আজ উত্তরপ্রদেশের Purvanchal Expressway-র শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ৩৪০ কিলোমিটারের সড়কটি উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের সাথে পূর্বের জেলাগুলির যাত্রার সময় কমাতে সাহায্য করবে। এমনকি এটি দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশ, বিহার সহ অন্যান্য জেলার যাত্রাপথ কমিয়ে আনবে। এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নে মোট ২২,৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত ২০১৮-র জুলাইতে প্রধানমন্ত্রী Purvanchal Expressway-টির শিলান্যাস করেছিলেন। মাঝে অবশ্য করোনা মহামারীর কারণে সড়ক তৈরির কাজে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এই প্রতিবেদনে আমরা চালকদের জন্য এই এক্সপ্রেসওয়েটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা আলোচনা করবো।

১) দেশের দীর্ঘতম সড়কপথগুলির মধ্যে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে একটি অন্যতম, যার দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিমি। চলাচলের সুবিধার জন্য এটি ৬ লেন বিশিষ্ট একটি রাস্তা। তবে অদূর ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুসারে এই সংখ্যাটি আরও বাড়ানো হতে পারে। এক্সপ্রেসওয়েটি লখনউয়ের পার্শ্ববর্তী চাঁদ সরাই থেকে হায়দারিয়ার গাজীপুর জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত।

২) Purvanchal Expressway-টি উত্তরপ্রদেশের মোট ৯টি জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। যেগুলি হল – লখনউ, বারাবানকি, আমেথি, সুলতানপুর, অযোধ্যা, আম্বেদকর নগর, আজামগড়, মৌ এবং গাজীপুর। এগুলির মধ্যে বেশিরভাগ জেলার বাসিন্দাই কৃষি নির্ভর। তাই এই এক্সপ্রেসওয়েটি সেইসব পণ্যের আদানপ্রদানে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।

৩) উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের জেলাগুলি অন্যান্য জেলার তুলনায় অনুন্নত। এই সড়ক পথটি ব্যবহার করে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই পূর্বাংশের জেলাগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এছাড়াও পূর্বাংশের জেলাগুলির মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে রাজ্যের রাজধানী লখনউয়ে আগের তুলনায় কম সময়ে পৌঁছাতে পারবেন।

৪) Purvanchal Expressway-র সৌজন্যে রাজ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটবে বলে আশাবাদী সরকার। লখনউ এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি সদ্য নির্মিত সড়ক পথটি ব্যবহার করে মানুষ আগের তুলনায় অনেক কম সময়ে পূর্বের জেলাগুলি এবং দিল্লির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হবে।

৫) পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে-টি চালু হলে প্রতিদিন ১৫,০০০-২০,০০০ জন যাত্রী চলাচল করতে পারবে বলে আশাবাদী উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই সংখ্যাটি আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা যোগী সরকারের। অন্যদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে এই সড়কটি ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না। আগামীতে প্রতিদিন এই এক্সপ্রেসওয়েটি থেকে ২০৩ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।

সঙ্গে থাকুন ➥