বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল PUBG, ঠিক কি কি অভিযোগ উঠেছিল জেনে নিন

Avatar

Published on:

ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক গতকালই জনপ্রিয় গেম PUBG সহ ১১৮ টি মোবাইল অ্যাপকে ব্যান করেছে। কারণ হিসেবে মন্ত্রক জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ কিছু অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছিল, যে তারা অবৈধভাবে ভারতের বাইরে অবস্থিত সার্ভারে ভারতীয়দের ডেটা জমা করছে। যা ভারতের জাতীয় সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা, সর্বোপরি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে নষ্ট করে। প্রসঙ্গত গত জুনেও ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য চিনে পাঠনোর অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল জনপ্রিয় ভিডিও মেকিং প্ল্যাটফর্ম, টিকটক সহ ৫৯ টি অ্যাপ কে।

বলাবাহুল্য, জনপ্রিয় গেমটি নিষিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে অগণিত পাবজিপ্রেমীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়। ইতিপূর্বে গেমটির প্রতি বাচ্চাদের আসক্তি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বহু মা-বাবা, সরকারি আধিকারিক এবং মন্ত্রী। পাবজিকে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় বলেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। এমনকি গত মাসে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে PUBG তে দিনের পর দিন বুঁদ হয়ে থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬ বছরের এক বালকের মৃত্যু সংবাদের খবরও আমাদের সামনে এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই গেমটি বরাবরই থেকেছে জনপ্রিয়তা ও বিতর্ক উভয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে।

যেমন- গতবছর গুজরাটের রাজকোট, সুরাট এবং আমেদাবাদ জেলায় গেমটি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিল। রাজকোট পুলিশের তরফ থেকে এটাও বলা হয়েছিল, গেমটি কাউকে খেলতে দেখলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে এবং দোষী সাব্যাস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটি বাচ্চাদের পক্ষে ক্ষতিকর, আসক্তি সৃষ্টিকারী এবং এটি প্লেয়ারদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এই যুক্তিতে গেমটি কে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

পাবজি খেলে সর্বস্বান্ত হওয়ার খবরও নানা প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। যেমন – গত জুলাইতে পাঞ্জাবের এক কিশোর পাবজিতে তার অ্যাকাউন্ট আপগ্রেড করার জন্য মা-বাবার সম্মতি ছাড়াই তাদের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল। মূলত চিকিৎসার জন্য সঞ্চয় করে রাখা ওই টাকা উধাও হয়ে গিয়েছিল কয়েক মাসের মধ্যেই। তবে শুধুমাত্র নিজের জন্য খরচ নয়, ওই টাকা দিয়ে কিশোরটি তার টিমমেটদের জন্যও নানা অ্যাক্সেসরিজ কিনেছিল বলে জানা যায়৷ এছাড়া অন্য একটি সংবাদেও সামনে এসেছিল, পাঞ্জাবের আর এক কিশোর, তার দাদুর পেটিএম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পাবজীতে ২ লক্ষ টাকার কেনাকাটা করেছে।

ফলে বহু সংগঠন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বরাবরই গেমটিকে সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়ে এসেছে। তবে এখন পাবজি ব্যান হওয়ার ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনায় বেশী মনোযোগ দেবে কিনা সেটা সময়ই বলবে৷ কে জানে, পাবজির বিকল্প হয়তো তাদের ফোনে ইতিমধ্যে ইনস্টল করা হয়ে গেছে!

সঙ্গে থাকুন ➥