এই মুহূর্তে স্মার্টফোন বাজারে Xiaomi-র অন্যতম শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী Realme। বছর দুয়েক আগে আর এক জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড OPPO-র হাত ধরে রিয়েলমি (Realme) বাজারে এসেছিল। অল্প সময়ে এই ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলি ইউজারদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। চলতি বছরে Realme 6, Realme 6i, Realme C12-এর মত বেশ কয়েকটি নতুন ফোন এনেছে রিয়েলমি। সম্প্রতি রিয়েলমির CEO, তাঁর উইবো প্রোফাইলে একটি চিঠি শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, টানা চারটি কোয়ার্টারে রিয়েলমির জনপ্রিয়তা এবং শেয়ার, দুটোই বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী মার্কেট শেয়ারের দিক দিয়ে গত ত্রৈমাসিকে সংস্থাটি ৭ম স্থান অর্জন করেছে।
অন্যদিকে, অপ্পোর প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কাই লি জানিয়েছেন, রিয়েলমি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনেকেই এই নতুন ব্র্যান্ডটি কতটা সাড়া ফেলবে বা বাজারে কতদিন টিকবে, এই জাতীয় প্রশ্ন তুলেছিল। মজার বিষয়, বর্তমানে স্মার্টফোন জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম রিয়েলমি। লি-এর মতে, দুবছর আগে তারা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি নতুন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড আনার চিন্তা ভাবনা করেছিলেন, বর্তমানে এই ব্র্যান্ড তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরো বলেছেন, আগামী দুই বছরে রিয়েলমি কেবল একটি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী হিসেবেই থেমে থাকবেনা। সংস্থাটি আগামী দিনগুলিতে, AIoT (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অফ থিংস)-এ ফোকাস করবে এবং বাজারে এর উপস্থিতি প্রসারিত করবে। ইতিমধ্যে সংস্থাটি বহুবার বলেছে, তারা এটি একটি “লাইফস্টাইল” ব্র্যান্ড হিসাবে বিবেচিত হতে চায়। প্রসঙ্গত, এই বছর রিয়েলমি স্মার্টফোন ছাড়াও, একটি স্মার্টওয়াচ, স্মার্টটিভি এবং TWS ইয়ারফোন লঞ্চ করেছে।
সংস্থাটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়ার মত অঞ্চলে নিজের শক্তিশালী জায়গা গড়ে তুলতে চাইছে। সংস্থার এক এক্সিকিউটিভ জানিয়েছে, Realme প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করতে চায়। আর এমনটা যদি বাস্তবে সম্ভব হয়, তবে ভবিষ্যতে রিয়েলমি বাজারের মূলধারার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডগুলির পাশে নিজের জায়গা করে নেবে।