HomeHow ToSim Swap Fraud: ছোট্ট ভুলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি, কীভাবে সিম সোয়াপিং জালিয়াতি...

Sim Swap Fraud: ছোট্ট ভুলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি, কীভাবে সিম সোয়াপিং জালিয়াতি থেকে বাঁচবেন

সিম সোয়াপিং বা মোবাইল সিমকে ভিত্তি করে পরিকল্পিত জালিয়াতির হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সাবধান থাকতে মাথায় রাখুন এই দুটি বিষয়।

ফিশিং স্ক্যাম, ম্যালওয়্যার হামলা এবং র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ এখন রোজকার ‘ডিজিটাল’ জীবনের সঙ্গে কার্যত অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে পড়েছে। প্রায়শই কোনো না কোনোভাবে এই জাতীয় অযাচিত ঘটনার কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তবে, এর মধ্যে ‘সিম সোয়াপিং’ (SIM Swapping বা SIM Shifting) বা মোবাইল সিমকে ভিত্তি করে পরিকল্পিত জালিয়াতির হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। যারা জানেন না তাদের বলে রাখি, সিম সোয়াপিং হল এমন একটি স্ক্যাম, যেখানে সাইবার ক্রিমিনালরা কোনো গ্রাহকের মোবাইল সিম কার্ডের ক্লোন জোগাড় করে এবং তার বা তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্যে অ্যাক্সেস পায়। এক্ষেত্রে মূলত ডুপ্লিকেট সিম ব্যবহার করে অপরাধীরা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সিস্টেমকে বাইপাস করে এবং গ্রাহকের সিমটি ব্লক করে নিজেদের কাছে ওই একই নম্বর অ্যাক্টিভ করে কার্য সিদ্ধি করে।

সিম কার্ড ক্লোন করা কী এতই সোজা?

মূল গ্রাহক বা ভিক্টিম যে প্রাইমারী সিম কার্ড ব্যবহার করেন, তার আইডেন্টিফিকেশনের প্রতি মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার যদি মনোযোগী না হন তবে সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররা খুব সহজেই সিম কার্ড ক্লোন করার সুযোগ পেয়ে যায়। আর, কাউকে এই জাতীয় ফাঁদে ফেলার জন্য তাদের শিকারের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন পুরো নাম, আইডি, ফোন নম্বর ইত্যাদি) প্রয়োজন হয়।

ডুপ্লিকেট সিম পাওয়ার পর কোনো অপরাধী সেটিকে নিজের ডিভাইসে লাগায়। এতে, তারা কল-মেসেজ হিস্ট্রি এবং ভিক্টিমের আসল সিম কার্ডের সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়৷ এছাড়া খুব স্বাভাবিকভাবেই, সিম সোয়াপিং হলে গ্রাহকের বদলে অপরাধীরা ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় ওটিপি (OTP)-তে অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। বুঝতেই পারছেন এই জালিয়াতির পদ্ধতিটি যতটা সহজ ততটাই ক্ষতিকর! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে সিম সোয়াপিং থেকে কীভাবে বাঁচবেন? সেক্ষেত্রে বলি, আপনাকে এই হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকতে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

সিম সোয়াপিং হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন এইভাবে

১. ফোন ব্যবহার করার সময় দেখবেন আপনার নেটওয়ার্ক সিগন্যাল আছে কিনা। আসলে যদি একই নম্বরের ডুপ্লিকেট সিম কার্ড অন হয়, তাহলে মূল সিম কার্ডটি সমস্ত মোবাইল সিগন্যাল হারিয়ে ফেলে। এটি থেকে কানেক্টিভিটি পাওয়া যায়না অর্থাৎ কল বা মেসেজ করা যায় না।

২. কোনো ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন৷ কারণ, সমস্ত ওয়েবসাইট অথেন্টিক নয়, ফলে সেখান থেকে খুব সহজে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার হতে পারে। তাই আগে নিশ্চিত করুন যে একটি ওয়েবসাইট নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য, আর তারপর তাতে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট করুন।

RELATED ARTICLES

Most Popular