মোবাইল-ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এন্ট্রি নিচ্ছে Tata, চিন্তা বাড়ছে Jio, Elon Musk-দের

Avatar

Published on:

আমরা সবাই জানি, ভারত সর্বোচ্চ ডেটা ব্যবহারকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম! পাশাপাশি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং স্মার্ট টিভির মতো বৈদ্যুতিন প্রোডাক্টগুলির জন্যও ভারত একটি বড়োসড়ো ও প্রথিতযশা মার্কেট। সম্ভবত সেই কারণেই টাটা গ্রুপ (Tata Group) ধীরে ধীরে ভারতের মোবাইল এবং ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করতে চলেছে। টাটা গোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্ত মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক (Starlink) প্রজেক্টকে নিঃসন্দেহে জোর টক্কর দেবে।

এলন মাস্ক এবং জিও-র চিন্তা বাড়ছে

ইতিমধ্যেই Jio ভারতে JioFiber ব্রডব্যান্ড সার্ভিস রোলআউট করছে, অন্যদিকে এলন মাস্ক খুব শীঘ্রই ভারতে তাদের Starlink সার্ভিস লঞ্চ করতে চলেছে। তবে এর মধ্যে Tata Group-এর ব্রডব্যান্ড সার্ভিস লঞ্চ হওয়ার খবর এলন মাস্ক এবং Jio-র কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই মাস্ক Starlink সার্ভিসের জন্য প্রি-বুকিংও শুরু করেছেন। এটি ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে উপলব্ধ হবে বলে জল্পনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, Airtel ২০২২ সালের মধ্যে একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিসও চালু করতে পারে।

ব্রডব্যান্ড সার্ভিস লঞ্চ করবে Tata

রিপোর্ট অনুযায়ী, টাটা গ্রুপ ইতিমধ্যেই 5G সরঞ্জাম তৈরির কাজ করছে। এর পাশাপাশি সংস্থাটি সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কথাও ঘোষণা করেছে, যা মোবাইল এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন ডিভাইসে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও, হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সার্ভিস লঞ্চের খবরও সম্প্রতি সামনে এসেছে। সব মিলিয়ে, ভারতে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে Tata জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, টাটা গ্রুপের নেলকো লিমিটেড (Nelco ltd) ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করতে পারে। এর জন্য তারা টেলিস্যাটের (telesat) সাথে আলোচনা করছে।

ভারত বহুল পরিমাণে উপকৃত হবে

Tata Group ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ৫জি সরঞ্জাম উৎপাদন ব্যবসায় ( ৫জি ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস) প্রবেশের কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে ভারত দেশীয় ৫জি সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি পেতে সক্ষম হবে। এর জন্য সংস্থাটি Tata Digital Business নামে একটি পৃথক উদ্যোগ তৈরি করবে। সংস্থার চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন জানিয়েছেন, ভারত সহ আরও অনেকগুলি দেশ সেমিকন্ডাক্টর সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক উপকরণের জন্য পুরোপুরি চীনের ওপর নির্ভরশীল। এমত পরিস্থিতিতে টাটার এই উদ্যোগ ভারতে এই সকল সামগ্রীর ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতকে এই জাতীয় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং ফলস্বরুপ আমাদের দেশ বহুল পরিমাণে উপকৃত হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্লাউড এবং ডেটা সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলিতে আরও গভীরভাবে কাজ করা অত্যন্ত প্রয়োজন, এবং এই বিষয়গুলি টাটা গোষ্ঠীর শীর্ষ অগ্রাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥