ব্রাজিলে ব্যান হল Telegram, সংস্থার বিরুদ্ধে অসহযোগিতাসহ নানা অভিযোগ এনেছে সুপ্রিম কোর্ট

Avatar

Published on:

বর্তমান সময়ে WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ)-এর সাথে তাল মিলিয়ে পরিষেবা দিয়ে চলেছে Telegram (টেলিগ্রাম)। কিন্তু এবার এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এল! আসলে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক দেশব্যাপী মেসেজিং অ্যাপ Telegram বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ, সংস্থাটি ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেনি; পরিবর্তে তারা প্রোফাইল ব্লক করা বা অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি ব্লগার অ্যালান ডস সান্তোসের সাথে লিঙ্কযুক্ত তথ্য সরবরাহ করেছে। তবে কারণ যাইহোক, আইনি এই পদক্ষেপটি Telegram-এর জন্য বেশ বড় ব্যবসায়িক ধাক্কা তো বটেই তার সাথে এটি রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারোর জন্য একটি ধাক্কা, কারণ তাঁর এই প্ল্যাটফর্মে ১ মিলিয়নেরও বেশি অনুগামী রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর হোয়াটসঅ্যাপ তার প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করার পর থেকে বলসোনারোর সমর্থকদের অনেকেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে শুরু করেন। এরপর ব্রাজিলে অ্যাপটির ব্যবহারও বেশ বাড়তে থাকে। তবে এখন বিচারক ডি মোরেস (যিনি ব্রাজিলিয়ান সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুল তথ্য তদন্তের সভাপতিত্ব করেন) বলেছেন যে, টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্ম প্রতিটি সম্ভাব্য সুযোগে ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ অবহেলা করেছে এবং বিচার বিভাগীয় আদেশ পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে ফেডারেল পুলিশ অ্যাপটি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। সব মিলিয়ে ডি মোরেস তাঁর রায়ে অ্যাপল (Apple), গুগল (Google) এবং ব্রাজিলিয়ান ফোন ক্যারিয়ারকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে টেলিগ্রাম ব্লক করার জন্য পাঁচ দিন সময় দিয়েছে। যদিও গতকাল সেদেশে প্ল্যাটফর্মটি চালুই ছিল।

এই বিষয়ে মেসেজিং অ্যাপের একজন প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, তাদের কর্পোরেট অ্যাড্রেস এবং ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যেকার ইমেইলগুলি নিয়ে সমস্যা ছিল। এতে দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভুল যোগাযোগ হয়েছে, আর ফলস্বরূপ আদালত টেলিগ্রামকে নিষিদ্ধ করার রায় দিয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের অবহেলার জন্য ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুরভ, এর সাথে তিনি বলেছেন যে তারা অবশ্যই আরও ভাল কাজ করতে পারতেন।

সঙ্গে থাকুন ➥