কৃষিক্ষেত্রে ‘ড্রোন’-এর ব্যবহার এক বছরে সৃষ্টি করতে পারে ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান। এমনটাই অভিমত কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)-র। সোমবার অ্যাগ্রোভিশান (Agrovision) দ্বারা আয়োজিত কৃষিকাজ সংক্রান্ত এক বার্ষিক সম্মিলনী অনুষ্ঠান থেকে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। গডকড়ী বলেন ইতিমধ্যেই তাঁর দুইজন সতীর্থের সাথে ড্রোন প্রযুক্তি প্রসঙ্গে খসড়া নীতি নিয়ে আসার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গডকড়ী বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী নারায়ণ রাণে-র সাথে এই প্রসঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে কৃষিক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার প্রসঙ্গে একটি নীতি নিয়ে আসা যায়।” উক্ত বার্ষিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানে সোমবার উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রীও। যেখানে নরেন্দ্র সিং তোমার, ২৪ ডিসেম্বর উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে গিয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী আরও বলেন, “ড্রোন, কৃষি এবং কুটির শিল্পের সাথে জড়িত। গ্রামাঞ্চলে ড্রোন একাই এক বছরে ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান উৎপন্ন করতে পারে। পাশাপাশি এটি কৃষকদেরও সুবিধা দেবে।” তিনি এই ড্রোনের মাধ্যমে কৃষি জমিতে কীটনাশক ছড়ানোর কথা বলেছেন। যা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন পড়বে মানুষের। এতেই তৈরি হবে কর্মসংস্থান।
এই প্রসঙ্গে গডকড়ী একটি উদাহরণ টেনে বলেন যে, তিনি নিজেও তাঁর জমিতে ড্রোনের মাধ্যমেই কীটনাশক স্প্রে করেন। ড্রোনের ব্যবহারের পাশাপাশি তিনি ইথানল জ্বালানির প্রতিও আলোকপাত করেছেন। তাঁর কথায়, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চালিত ড্রোনের দাম প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। যেখানে একই প্রযুক্তির ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত ড্রোনের মূল্য ১.৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
প্রসঙ্গত, ড্রোন পরিচালনা করার জন্য যে কর্মসংস্থান তৈরি হবে, সে বিষয়ে সুর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার’ও। এই প্রযুক্তি গ্রহণ করলে কৃষকরাও উপকৃত হবেন বলেই তাঁর মতামত।