বড়সড় বিপদে পড়তে পারেন, পুরানো মোবাইল ফোন বিক্রির আগে অবশ্যই করুন এই কাজ

Avatar

Published on:

সময় ও চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে স্মার্টফোনের টেকনোলজি দিনকে দিন উন্নত হচ্ছে। তাই যেসকল ব্যক্তিরা সময়ের সাথে নিজেকে আপডেটেড রাখতে চান, তারা সচরাচর ৩-৪ বছরের বেশি একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান না। বিশেষত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ইউজারদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কারণ, আইফোনের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড ফোনের টেকনোলজি দ্রুত পরিবর্তনশীল। এমত পরিস্থিতিতে, নতুন ফোন কেনার সময়ে বাজেটের খেয়াল রাখতে অনেকেই পুরোনো হ্যান্ডসেটকে বিক্রি করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগে পুরানো স্মার্টফোন বিক্রি করা তেমন কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু অপরিচিতের হাতে পুরোনো মোবাইল তুলে দেওয়ার আগে কিছু প্রাথমিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন। যাতে পরবর্তী সময়ে আপনাদের কোনো অবাঞ্চিত ঝুটঝামেলায় পড়তে না হয়। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা পুরানো স্মার্টফোন বিক্রি করার সময় এতে উপস্থিত ডেটা কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো। নিচে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি যদি অনুসরণ করেন, তবে ফোনের খরিদ্দার আপনার ব্যক্তিগত ডেটার অপব্যবহার করতে পারবেন না। তাহলে চলুন কৌশলগুলি জেনে নেওয়া যাক।

পুরানো স্মার্টফোন বিক্রি করার আগে এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন

ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে এই কাজগুলো করুন :

স্মার্টফোনের ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে অবশ্যই আপনার যাবতীয় অ্যাকাউন্ট, যেমন – গুগল, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ওয়ালেট থেকে লগ আউট হতে ভুলবেন না যেন৷ লগ আউট হওয়ার পরে আপনি নিশ্চিন্তে ফোনকে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন। প্রসঙ্গত, আপনারা ফোনের সেটিংসে গিয়ে লগইন করা সমস্ত অ্যাকাউন্টের তালিকা দেখতে পারবেন।

ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন :

পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন অপর কোনো ব্যক্তির কাছে বিক্রি করার আগে, ফোনে থাকা ডেটার ব্যাকআপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। নতুবা, আপনার মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্ট, কল রেকর্ডিং, মেসেজ, ফটো, ভিডিও সহ অন্যান্য ফাইল হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। ব্যাকআপের জন্য আপনি হার্ড ড্রাইভ বা মেমরি কার্ডের ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, গুগল ক্লাউডের মতো সফ্টওয়্যারের সাহায্যও নিতে পারেন।

মাইক্রোএসডি কার্ড রিমুভ করুন :

ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি বাড়ানোর জন্য এখন প্রায় সকলেই মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। ফোনকে বিক্রি করার সময়ে, ক্ষুদ্রাকৃতির এই মেমোরি চিপের কথা ভুললে কিন্তু একদম চলবে না। তাই দ্বিতীয় পক্ষের হাতে ফোনটি দেওয়ার আগে চেক করে নিন আপনি মাইক্রোএসডি রিমুভ বা সরিয়েছেন কিনা।

সিম রিমুভ করুন :

মাইক্রোএসডি কার্ডের পাশাপাশি সিম কার্ডও বার করতে ভুলবেন না যেন। কারণ, সিম কার্ডের সাথে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা জড়িত থাকে।

হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন :

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বা ফাইলের ব্যাকআপ নিয়ে রাখা খুবই দরকার। কারণ নতুন হ্যান্ডসেটে সুইচ করার আগে ব্যাকআপ না রাখলে, আপনার হোয়াটসঅ্যাপে থাকা প্রয়োজনীয় চ্যাট পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তাই, ব্যাকআপ নিয়ে রাখলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আপনা থেকে নতুন স্মার্টফোনে রিস্টোর হয়ে যাবে।

ফোন এনক্রিপ্ট করা কিনা পরীক্ষা করুন :

স্মার্টফোনের ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে চেক করে নিন যে আপনার ফোন এনক্রিপ্ট করা আছে কিনা। যদি আপনার স্মার্টফোনটি এনক্রিপ্ট করা না থাকে তবে আপনি এটি ম্যানুয়ালি করতে পারবেন। এমনটা করলে আপনার স্মার্টফোনে থাকা ডেটা অপর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। যদিও, বেশিরভাগ স্মার্টফোন এনক্রিপ্ট করা থাকে, তবুও সচেতন থাকতে ক্ষতি কী?

সঙ্গে থাকুন ➥