ভারতীয় ‘টুইটার’ Koo-এর জনপ্রিয়তায় উদ্বিগ্ন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তা!

Avatar

Published on:

টুইটার (Twitter)-এর সাথে মতবিরোধ হওয়ার কারণে কয়েকদিন আগেই দেশীয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট কু (Koo)-এর ব্যাপক প্রচার শুরু করে ভারত সরকার। হালফিল সময়ে এটি বেশ জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। কিন্তু টুইটারের এই ভারতীয় বিকল্পটির আকস্মিক জনপ্রিয়তা দেখে সম্প্রতি বেশ কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-এর সিইও উইল ক্যাথকার্ট। না, জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির সাথে টুইটারের বা ক্যাথকার্টের সাথে টুইটারের সিইওর কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে, ভারত সরকার, কু-এর মত একের পর দেশীয় বিকল্প আনতে থাকলে বৈদেশিক সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলি ভারতে বাজার হারাতে পারে এই আশঙ্কাই ক্যাথকার্টের মনে দানা বেঁধেছে! প্রসঙ্গত বছরের শুরু থেকেই নিজের প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তন এনে ভারতসহ বিশ্বের বহু জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। বহু ইউজারই ইতিমধ্যেই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির বিকল্প অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে দেশীয় কোনো বিকল্প অ্যাপ এলে যে সমস্যা আরও বাড়বে তা ক্যাথকার্ট ভালো মতই বুঝতে পারছেন।

এই বিষয়ে, বিগ টেকনোলজি পডকাস্ট-এর হোস্ট অ্যালেক্স ক্যানট্রোউইজ-কে ক্যাথকার্ট জানিয়েছেন যে, এমনিতে গ্লোবাল ইন্টারনেট বা স্প্লিন্টারনেট থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ দেশেরই নিজস্ব নিয়মকানুন বা রেগুলেশন রয়েছে। এর মধ্যেই যদি এই ধরণের কোনো দেশের সরকার নিজস্ব মিনি-ইন্টারনেট এবং নিজস্ব মিনি-অ্যাপ্লিকেশনের প্রচলন শুরু করে তবে গোটা ঘটনাটি হোয়াটসঅ্যাপের মত বৈদেশিক সংস্থাগুলির জন্য মোটেও ইতিবাচক হবে না।

আসলে Koo নামক প্ল্যাটফর্মটিকে এখন টুইটারের সাথে বেশ জমিয়ে পাল্লা দিতে দেখা যাচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ৪০ লক্ষ মানুষ এই প্ল্যাটফর্মটিতে যোগ দিয়েছেন; ইতিমধ্যে এটি ৪.১ মিলিয়ন ডলার ফান্ডিংও পেয়েছে। আবার প্ল্যাটফর্মটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক বিদাওয়াতাকা গত মাসে আইএএনএসকে জানিয়েছেন যে এই বছরের শেষ নাগাদ তাঁরা ইউজারবেস ১০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন। আর এই সব দেখে শুনেই নড়েচড়ে বসেছে জনপ্রিয় গ্লোবাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি।

এক্ষেত্রে ক্যাথকার্ট বলেছেন যে, তিনি মনে করেন WhatsApp বা এই জাতীয় বিশ্বব্যাপী পরিচিত প্ল্যাটফর্মগুলির ভারত সরকারের পদক্ষেপ দেখে উদ্বিগ্ন ও ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। কারণ ইতিমধ্যেই মেইনল্যান্ড চীন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও স্প্লিন্টারনেট ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে যদি এই সংস্থাগুলির অন্যান্য বড় বাজার অর্থাৎ ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এমনভাবে স্প্লিন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু হয় তবে তাদের সমস্যা বাড়বে বলেই তাঁর দাবি। পাশাপাশি এই ধরণের যে পণ্যগুলি বিশ্বব্যাপী কাজ করে তাতেই মানুষ বেশী উপকৃত হয় বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ সিইও। তবে ক্যাথকার্ট আশা রাখছেন যে, তাঁরা সরকারের এই ধরণের মৌলিক হুমকির ফলে পিছিয়ে না গিয়ে সমস্যার যথাযথ সমাধান করার চেষ্টা করবেন যাতে তাদের পরিষেবা আরো যুক্তিসঙ্গত হয়ে উঠবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥