Part Time Job Scam: ঘরে বসে পার্ট টাইম জবের মেসেজ পাচ্ছেন? লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছে মানুষ
Part Time Jobs Scam: কোভিড পরবর্তী সময়ে মানুষ ইন্টারনেটকে ভীষণ আপন করে নিয়েছেন। যে কারণে মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে মানুষ নিজের সুবিধে অনুসারে অনলাইনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পার্ট টাইম বা ফুলটাইম কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং বাড়িতে বসেই সহজেই আয় করতে পারছেন।
আর এইসব সমস্ত অনলাইন কাজের দ্বারা এক শ্রেণীর মানুষ নিঃসন্দেহে উপকৃত হচ্ছেন। তবে এরই পাশাপাশি অনেক মানুষকে অনলাইন কাজের ছুঁতোয় প্রতারিত করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। সম্প্রতি পুনের মহারাষ্ট্রে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে যা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে জন সাধারণের মনে।
বর্তমানে অনলাইন টাস্ক স্ক্যাম (Online Task Scam) বা পার্ট টাইম জব স্ক্যাম খুব দ্রুতভাবে দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক সাধারন মানুষই এই ফাঁদে পড়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছেন। জানা গিয়েছে এই প্রতারকরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে।
এই প্রতারকেরা সাধারণ মানুষকে পার্ট টাইম কাজের প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রীতি পুনের এক ব্যক্তি এই সাইবার ক্রাইমের পাল্লায় পড়ে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা হারান।
পুনের টাইমস মিরর নামে একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে স্ক্যামাররা ওই ছাপান্ন বছর বয়সি বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাতাকে ঠকিয়ে ৯৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই ব্যক্তি ব্যবধান এনডিএ রোডের (Bavdhan-NDA Road) রামবাগ কলনির (Rambaug colony) বাসিন্দা।
ওই প্রতারিত ব্যক্তির এফআইআর এর ভিত্তিতে জানা যায় যে, তিনি একদিন তার ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ পান। যাতে তাকে একটি পার্ট টাইম কাজের অফার দেওয়া হয়। এরপর তিনি যখন সেই নাম্বারে রিপ্লাই করেন তখন তাকে একটি চ্যাট গ্রুপে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তারপর তিনি সেই গ্রুপে যোগ দেবার পর ধীরে ধীরে তার বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা চালাতে থাকে ওই প্রতারকরা। তারা ওয়েলকাম বোনাস হিসেবে তাকে ১০ হাজার টাকাও দেয়। পাশাপাশি তাকে একটি ট্রাভেল এজেন্সির রেটিং এবং রিভিউ লেখার কাজ দেওয়া হয়। এর জন্য তাকে প্রথমে দুটো ইনস্টলমেন্টে ২১,৯৯০ টাকা দিতে বলা হয়। এবং এরপর প্রতারকরা তাকে এই কাজের বিনিময়ে ২৪৮০৯ টাকা ফেরত দেয়। এরপর তাকে এরকমই কাজের জন্য আশি হাজার টাকা দিতে বলা হয় এবং এর পরিবর্তে তাকে ৯৪,৮৪০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
এরপর পরবর্তী কাজের জন্য প্রতারিত ব্যক্তির কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবর্তে তাকে কোন টাকা ফেরত দেওয়া হয় না। এরপর বিষয়টি প্রতারকদের কাছে জানতে চাওয়া হলে ওই ব্যক্তির কাছে আরো ৩৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তাকে বলা হয় এর পরিবর্তে তাকে মোটা কমিশন সমেত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
সেইমতো ওই ব্যক্তি প্রতারকের দাবি অনুযায়ী পুরো টাকা দেন, কিন্তু কাজ করার পরিবর্তেও তিনি কোনো টাকা পান না। আর এরপরেই প্রতারকরা তার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তখন ঐ ব্যক্তির কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে তিনি প্রতারিত হয়ে গেছেন। এবং এর পরই তিনি সাইবার বিভাগে এফআইআর দায়ের করেন।
এফ আই আর দায়ের করার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেয়। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের ৪১৯, ৪২০ এবং ৪৩৪ ধারায় ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের সেকশন ৬৬ ডি এবং ৬৬ সি-এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।