West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে থাকেন? ইলেকট্রিক বা সিএনজি গাড়ি কিনতে চাইলে সুসংবাদ, শীঘ্রই এ রাজ্যে কমছে দাম
গত শুক্রবার অর্থাৎ ১১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেশ করেন ২০২২-২৩ বাজেট। এবারের বাজেটে বৈদ্যুতিক ও সিএনজি (প্রাকৃতিক গ্যাস) চালিত গাড়ি শিল্পে জোয়ার আনতে এগুলির রেজিস্ট্রেশন ফি এবং পথ কর (রোড ট্যাক্স) মকুবের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ২ বছরের জন্য বৈধ থাকবে এই ছাড়। আসলে পেট্রল-ডিজেলের ঝাঁঝালো দাম এড়াতে বহু মানুষ ইদানিং বিকল্প জ্বালানির গাড়ি বেছে নিচ্ছেন। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের ব্যারেল পিছু দামের ১০০ ডলার পেরনো।
রাজ্যের এই রেজিস্ট্রেশন ফি এবং পথ কর মকুবের আওতায় সমস্ত বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত যাত্রীবাহী গাড়ির সাথে ইলেকট্রিক টু-হুইলারকেও শামিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ি পারমিট ফি-তে ছাড় দেওয়া হলেও দু'বছরের এই লম্বা সময় ধরে আর্থিক ছাড়ের ঘোষণা এই প্রথম। এর ফলে রাজ্যের মানুষ বিকল্প জ্বালানির গাড়ি কিনতে আগ্রহী হবেন বলে আশাবাদী শিল্পমহল। কিন্তু রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জিং স্টেশন এখনও অপ্রতুল। ফলে জ্বালানি সঙ্কটের আশঙ্কায় বহু মানুষের এ জাতীয় যানবাহন কিনতে সাহস কুলাচ্ছে না।
তবে রাজ্য সরকারের এই ছাড়ের ঘোষণায় বিকল্প জ্বালানি গাড়ির দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে আসবে বলা যায়। এদিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় ইতিমধ্যেই ২৭টি সিএনজি পাম্প গড়ে উঠেছে, এবং চলতি মাসের মধ্যে তা বেড়ে ৬০টি হবে বলে সূত্রের খবর। আবার বহু তেল সংস্থা এ রাজ্যে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে ঝোঁক বাড়িয়েছে।
ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) পলিসির মাধ্যমে এ রাজ্যে প্রতি ২৫ কিমি অন্তর বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন তৈরীর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আবার ইন্টারসিটি ট্রাভেল যেমন কলকাতা, আসানসোল এবং দীঘার মধ্যে গণ পরিবহণ হিসেবে বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, কার্বনের নির্গমন কমাতে ২০৩০-এর মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বাস সিএনজি এবং ইলেকট্রিক যানবাহনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মমতা ব্যানার্জি সরকার।