Upcoming Bikes in 2023: বাজাজ, সুজুকি, হোন্ডার সৌজন্যে এ বছর বাজারে আসছে এই দুর্দান্ত বাইকগুলি
২০২৩ সালে পদার্পণ করতেই নতুন মোটরসাইকেল আগমনের প্রহর গোনা চালু। আগামী ১২ মাস জুড়ে আসতে চলেছে একের পর এক নতুন দুই চাকার চমক। বাজাজ থেকে শুরু করে ট্রায়াম্ফ কিংবা ইয়ামাহা সবার হাতেই রয়েছে তুরুপের তাস। বিভিন্ন সেগমেন্টে নানা রকম দামের রেঞ্জে লঞ্চ হবে এগুলি। কোনোটি অ্যাডভেঞ্চার তো কোনোটি স্ট্রিট ফাইটার, বৈচিত্র রয়েছে হরেক রকম। চলুন দেখে নেওয়া যাক চলতি বছর লঞ্চ হতে পারে তেমনই পাঁচটি বাইকের সুলুক সন্ধান।
Bajaj Pulsar 125
যদিও এখনো পর্যন্ত বাজাজের তরফে নিশ্চিত করে কোনো সবুজ সংকেত মেলেনি তবে একথা নিশ্চিত করে বলা যায় গত বছর লঞ্চ হওয়া Pulsar P150-কে সঙ্গ দিতে পালসার সিরিজের অধীনে ১২৫ সিসির নতুন একটি মোটরবাইক এই বছরই আনবে তারা। বর্তমান দিনে মোটরবাইকের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জীবিকার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনদের কথা ভেবে ১২৫ সিসির পালসার বেশ যুক্তিযুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই এটি P150-র তুলনায় হালকা এবং ছোট চেহারার হবে। তবে ডিজাইনের দিক থেকে খানিক সদৃশ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে আত্মপ্রকাশ করতে পারে পালসারের এই নতুন বাইক। দাম থাকতে পারে ১ লাখ টাকার(এক্স শোরুম) মধ্যেই।
Triumph Street Triple Range
২০২২ সালেই ট্রায়াম্ফ স্ট্রিট ট্রিপল রেঞ্জের নতুন আপডেটেড ভার্সনের ঝলক দেখেছি আমরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চেই আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হবে এর। R, RS এবং Moto2 এই তিনটে ভ্যারিয়েন্টে আত্মপ্রকাশ করবে ট্রায়াম্ফ এর এই বাইক। R এবং RS দুটি মডেলের ক্ষেত্রেই পূর্ববর্তী সংস্করণের তুলনায় অতিরিক্ত পাওয়ার ও টর্ক অনুভূত হবে। যদিও Moto2 এডিশনে ট্রাম্পের আসল Moto2 রেস ইঞ্জিনের তুলনায় ১০ পিএস পাওয়ার কম উৎপন্ন হবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এই স্পেশাল এডিশন Moto2 লিমিটেড সংস্করণ হিসেবেই আসবে। Triumph Street Triple সিরিজের এই আপডেটেড ভার্সনে সাসপেনশন, ব্রেকিং সিস্টেম এমনকি অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল ফিচার্সেও এসেছে নানা পরিবর্তন। বাইকটির সম্ভাব্য এক্স শোরুম মূল্য হবে ৯.৫ লাখ - ১১.৫ লাখের মধ্যে।
Yamaha MT-07 এবং YZF-R7
বিগত বেশ কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অধিক ডিসপ্লেসমেন্টের বাইকের দেখা মিললেও ভারতের বাজারে তাদের পাওয়া যায়নি। সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে ২০২৩ সালে। চলতি বছরেই আমরা MT-07 এবং YZF-R7 দুটি বাইকেরই দেখা পেতে চলেছি। সম্ভবত জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতেই CBU হিসাবে লিমিটেড সংস্করণে ভাবতে পাড়ি দেবে তারা। আগামী এপ্রিল থেকে আসন্ন নতুন কার্বন নির্গমন নীতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সম্পূর্ণ তৈরি করে ভারতে আমদানির বলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি কর বসবে এর উপর। ফলে ইয়ামাহার এই বাইক দুটি কিনতে ৯-১২ লাখ টাকা(এক্স শোরুম) খরচ হতে পারে।
Honda Hornet এবং Transalp
গত বছর এই আমরা হাজির হতে দেখেছি নতুন CB750 Hornet-কে। ৭৫০ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিনের উপর নির্মিত স্ট্রিটফাইটার মোটরবাইক এটি। এর পাশাপাশি একই প্লাটফর্ম এর উপর নির্মিত অ্যাডভেঞ্চার বাইক Transalp 750 ভারতে পা রাখতে চলেছে এই বছরেই। এটি আদতে Africa Twin-র ছোট সংস্করণ। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী গ্রাহকদের কাছে এটি নতুন বছরের অন্যতম বড় উপহার। ২০২৩-র মাঝামাঝির সময়েই ভারতে লঞ্চ করবে হোন্ডার বহু প্রতীক্ষিত এই দুটি মডেল। বিগ বাইক হিসাবে এদের আনুমানিক এক্স শোরুম মূল্য হবে ১০ থেকে ১১ লাখ টাকার মধ্যে।
Suzuki V-Storm 800 DE
গত বছরে ইতালির মিলান শহরে অনুষ্ঠিত মোটরবাইক শো EICMA-তে V-Storm 650 মডেলটির আপডেটেড ভার্সন V-Storm 800 DE নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। V-Storm সিরিজের এডভেঞ্চার বাইক হিসাবে ভি-টুইন ইঞ্জিনের পরিবর্তে প্রথমবারের জন্য ৮০০ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এতে। তাই এই বাইকটিকে V-Storm না বলে, P-Storm বলা চলে। তবে সুজুকি আশ্বাসবাণী দিয়েছে যে এই প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন তাদের পূর্ববর্তী ভি-টুইন ইঞ্জিনের মতোই পারফরম্যান্স প্রদান করতে সক্ষম। তাই 650-র মত এই মডেলটিও অন-রোড এবং অফ-রোড দুই ধরনের রাস্তাতেই সাবলীলভাবে চলাফেরা করতে পারবে। চলতি বছরের দীপাবলীর আগেই এদেশের রাস্তায় ঝড় তুলতে আসতে পারে V-Storm 800 DE। বাইকটির দাম প্রায় ১১ লাখ টাকা (এক্স শোরুম) হবে বলে অনুমান।