ডেটা প্রাইভেসি রুলস ভঙ্গের কারণে প্রায় ১৯৪৭ কোটি টাকা জরিমানার সম্মুখীন WhatsApp
এই বছরটা WhatsApp-এর জন্য একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বললেই চলে। বছরের শুরু থেকেই প্রাইভেসি পলিসিকে কেন্দ্র করে বিতর্কের পর এবার এক বড়োসড়ো জরিমানার মুখোমুখি হলো সংস্থাটি। Facebook মালিকানাধীন জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি আয়ারল্যান্ডে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেটা প্রাইভেসি রুলস (EU data privacy law) ভঙ্গের জন্য ২২৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৯৪৭ কোটি টাকা) জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে, যা জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (GDPR) লঙ্ঘনের উপর আইরিশ ডেটা নিয়ন্ত্রক (Irish data regulatory) কর্তৃক আরোপিত বৃহত্তম জরিমানা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশন জানিয়েছে,"হোয়াটসঅ্যাপ, ইউজারদের ডেটা কালেকশন করে কী করে সে বিষয়ে তারা ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নাগরিকদের বলতে ব্যর্থ হয়েছে।" হোয়াটসঅ্যাপ কীভাবে এই ডেটা সংগ্রহ করে, এবং সেইসাথে হোয়াটসঅ্যাপ কীভাবে ফেসবুকের সাথে ইউজারের ডেটা শেয়ার করে সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারিনি বল কমিশন জানিয়েছে।
জানিয়ে রাখি,আইরিশ কর্তৃপক্ষ মূলত GDPR লঙ্ঘনের জন্য WhatsApp-এর কাছে ৫০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা চেয়েছিল, কিন্তু অন্যান্য তথ্য সুরক্ষা সংস্থাগুলি (data protection agencies) কঠোর জরিমানার জন্য চাপ দেওয়ায় এখন আরোপিত জরিমানা মূল প্রস্তাবিত জরিমানার চার গুণেরও বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কমিশন তার আদেশে WhatsApp-কে ইউরোপের গোপনীয়তা আইন মেনে ইউজারদের কাছে ডেটা শেয়ার সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি স্বচ্ছ রাখার পাশাপাশি তাদের প্রাইভেসি পলিসিতেও যথাযথ পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিয়েছে।
আরোপিত এই জরিমানা প্রসঙ্গে WhatsApp জানিয়েছে যে, সংস্থাটি এই রায় নিয়ে আপিল দায়ের করবে। সংস্থার এক মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন যে, "WhatsApp একটি নিরাপদ ও বেসরকারী পরিষেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিশ্চিতভাবে আমরা যে তথ্য সরবরাহ করি তা সর্বাঙ্গীণভাবে স্বচ্ছ এবং তা বজায় রাখার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও কাজ চালিয়ে যাব। ২০১৮ সালে আমরা জনগণকে যে স্বচ্ছতা প্রদান করেছি, তার সাপেক্ষে সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তের সাথে আমরা একমত নই এবং এই জরিমানা সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ।"
উল্লেখ্য যে, নিজেদের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে, তারা ফোন নম্বর, ট্রানজ্যাকশন ডেটা, বিজনেস ইন্টার্যাকশন, মোবাইল ডিভাইস ইনফর্মেশন, IP অ্যাড্রেস-এর মতো অন্যান্য তথ্য Facebook-এর সাথে শেয়ার করে। পাশাপাশি সংস্থাটি একথাও নিশ্চিত করেছে যে, ব্যক্তিগত কথোপকথন, লোকেশন ডেটা বা কল লগ সংক্রান্ত কোনো তথ্য শেয়ার করা হয়না।