Xiaomi স্মার্টফোন ইউজারদের জন্য সুখবর, ২ মাস ওয়্যারেন্টি বাড়লো
ভারতের বর্তমান মহামারী পরিস্থিতি দেখে এখনো পর্যন্ত বহু দেশী-বিদেশী কোম্পানিই নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে; এমনকি এগিয়ে এসেছে নামী-দামী স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলিও। Poco, Vivo-র মত হ্যান্ডসেট নির্মাতারা ইতিমধ্যেই ফোনের ওয়্যারেন্টি বাড়িয়েছে। এবার ভারতীয় ইউজারদের সুবিধার্থে নিজের ডিভাইসগুলির ওয়্যারেন্টি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল চীনা টেক জায়ান্ট Xiaomi-ও। আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় এই মোবাইল ব্র্যান্ডটি একটি টুইটের মাধ্যমে ওয়্যারেন্টি এক্সটেনশনের এই সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে মে বা জুন মাসে যে সমস্ত Xiaomi ইউজারের ডিভাইসের ওয়্যারেন্টি শেষ হয়েছে বা হবে – কেবলমাত্র তারাই বর্ধিত ওয়্যারেন্টি পিরিয়ডের সুবিধা পাবেন। এমনকি আগ্রহীরা সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে বিক্রয়োত্তর সহায়তার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন।
সুতরাং, এখন যাদের শাওমি (Xiaomi) ডিভাইসের ওয়্যারেন্টি শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তারা ডিভাইসে কোনো সমস্যা হলে তা নিখরচায় মেরামতির জন্য দুই মাস অতিরিক্ত (আগস্ট পর্যন্ত) সময় পাবেন। অন্যদিকে এই ধরণের ইউজাররা বাড়ির বাইরে না গিয়ে অর্থাৎ বাড়িতে বসেই ডিভাইসটির সার্ভিসিং করাতে সক্ষম হবেন। এক্ষেত্রে সংস্থার টুইটে শুধু স্মার্টফোনগুলির জন্যই ওয়্যারেন্টি বর্ধিত হবে কিনা তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। যদিও পোস্টের 'শাওমি ডিভাইস' শব্দবন্ধনীটি ব্র্যান্ডের ইয়ারফোন, স্পিকার, আনুষাঙ্গিক প্রোডাক্ট এবং অন্যান্য গ্যাজেটকে সূচিত করছে বলে অনেকে মনে করছেন।
Xiaomi-র এক সময়ের সাথী Poco এবং প্রতিদ্বন্দ্বী Vivo – উভয়েই গত সপ্তাহে নিজেদের হ্যান্ডসেটের ওয়্যারেন্টি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সংস্থাগুলির একাংশ সার্ভিস সেন্টার বন্ধ থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেক্ষেত্রে Poco দুই মাসের ওয়্যারেন্টি বাড়ালেও Vivo মাত্র এক মাসের জন্য এই সুবিধা দিয়েছে। তবে Vivo অতিরিক্তভাবে তার গ্রাহকদের জন্য একটি ফ্রি হ্যান্ডসেট পিক-অ্যান্ড-ড্রপ পরিষেবা ঘোষণা করেছে। যদিও সংস্থাগুলি এই জাতীয় সুবিধা দিলেও ওয়্যারেন্টির সীমাবদ্ধতা এবং শর্তাবলী একইরকম থাকবে কিনা তা নিশ্চিত রূপে বলা যাচ্ছেনা।
তবে যাইহোক ভারতীয় ইউজারদের পাশে থাকতে Xiaomi-ও যে পিছপা হয়নি, তা সংস্থার সাম্প্রতিক পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট। কারণ এই ওয়্যারেন্টি এক্সটেনশনের সুবিধার ঘোষণার আগে, গত মাসেই ত্রাণ হিসেবে কয়েক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে চীনা সংস্থাটি। পাশাপাশি তারা ভারতীয় ইউজার এবং কর্মীদের যথাসম্ভব পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছে।