5G সিম কোথায় পাওয়া যাবে ও প্ল্যানের দাম কত হবে? 4G ফোনে কি ব্যবহার করা যাবে 5G
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে 5G নেটওয়ার্ক চালু করেছেন। আগামী কয়েক বছরে, 5G পরিষেবা সারা ভারত জুড়ে পাওয়া যাবে। Reliance Jio ও Airtel জানিয়েছে যে, শীঘ্রই দেশে 5G পরিষেবা রোল আউট করা হবে। পঞ্চম প্রজন্মের এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা দ্রুত ইন্টারনেট, কম ল্যাটেন্সি, সেইসাথে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি প্রদান করবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই নিশ্চয়ই ভাবছেন 4G সিম কার্ড দিয়ে এখন তবে কী করবেন? এখন কী পুরানো সিম ফেলে দিয়ে 5G সিম গ্রহণ করবেন? অথবা 5G সিম কোথায় পাওয়া যাবে? এছাড়া পুরানো 4G স্মার্টফোনগুলির কী হবে? এর বদলে কী 5G ফোন কিনতে হবে? যদি আপনার মনেও এই প্রশ্নগুলির উদয় হয় এবং আপনি চিন্তিত থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদন থেকে সমস্ত উত্তর জেনে নিন।
ভারতে লঞ্চ হল 5G, এখন কী 4G SIM ফেলে দেবেন
- এর সোজাসাপ্টা উত্তর হল না। 5G-এর আগমন সত্ত্বেও, 4G LTE হল ভারতের টেলিযোগাযোগ পরিকাঠামোর মেরুদন্ড। আগামী দুই বছরে, Airtel এবং Jio-এর মতো টেলিকম অপারেটরগুলি যতটা সম্ভব তাদের 5G নেটওয়ার্ক প্রসারিত করবে। ততদিন পর্যন্ত, আপনি নিশ্চিন্তে 4G সিম কার্ড ব্যবহার করুন।
- শুরুতে ৫জি, ৪জি-এর মতো নির্ভরযোগ্য এবং সহজলভ্য হবে না। ৫জি এখন কয়েকটি শহরেই পাওয়া যাবে। সুতরাং, আপনি শুধুমাত্র কিছু এলাকায় ৫জি স্পিড পাবেন। ফলে ৫জি প্ল্যান কিনলে লাভবান হবেন না।
5G SIM কার্ড কোথা থেকে পাওয়া যাবে
- এয়ারটেল বলেছে, যে গ্রাহকরা ৪জি সিম কার্ড ব্যবহার করছেন তারা তাদের এলাকায় পরিষেবা চালু হয়ে গেলে সিম কার্ড পরিবর্তন না করে ৫জি পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আপনার এক্ষুনি ৫জি সিম কার্ড খোঁজা উচিত নয়। জিও যদিও এখনও কিছু বলেনি।
5G প্ল্যানের দাম কিছুটা বাড়বে
- আমরা এই মুহূর্তে জানি না ভারতে ৫জি পরিষেবার দাম কত হবে। জিও ও এয়ারটেল ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ভারতে ৪জি পরিষেবার তুলনায় ৫জি কিছুটা ব্যয়বহুল হবে এবং তবে তা সাশ্রয়ী হবে। তাই ৪জি এখন বেশিরভাগ লোকের জন্য লাভজনক হবে।
4G ফোনে কী ব্যবহার করা যাবে 5G পরিষেবা
আজ্ঞে না! আপনি ৪জি ফোন ব্যবহার করে ৫জি-এর স্বাদ পাবেন না। কারণ পুরানো ফোনগুলিতে ৫জি ব্যান্ড সাপোর্ট করবে না। তাই আপনাকে নতুন ফোন কিনতে হবে। এখন ভারতে ১২ হাজার টাকা থেকে ৫জি ফোন পাওয়া যায়।