Bajaj-এর কারখানার পাশে ঘোরাফেরা করছে নতুন বাইক, চমকে ভরা ফিচার্স নিয়ে হবে লঞ্চ
বর্তমানে ভারতের অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের দুনিয়ায় রেষারেষি তুঙ্গে। চাহিদা যেমন তীব্র, তেমনই কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতাও মারাত্মক। গত বছরের শেষ দিকে ভারতের বাজারে উক্ত সেগমেন্টে হহইচই ফেলে লঞ্চ হয়েছিল Royal Enfield Himalayan 450। এবারে হিমালয়ানকে টক্কর দিতে কেটিএম (KTM) আনছে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাডভেঞ্চার বাইক। যার নাম – 390 Adventure। বাজাজের চাকানের কারখানার সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি এটির টেস্টিং করতে দেখা গিয়েছে, যেখানে কেটিএম-এরই টু-হুইলার তৈরি হয়।
2025 KTM 390 Adventure-এর টেস্টিং শুরু হল
ডিজাইনের প্রসঙ্গে বললে, KTM 390 Adventure-এ রয়েছে শার্প লাইন। সামনে লো বিমের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ভার্টিক্যালি স্ট্যাক এলইডি প্রোজেক্টর হেড ল্যাম্প এবং তার নিচে হাই বিমের জন্য এলইডি ল্যাম্প। এর সাথে সংযুক্ত অশ্বক্ষুরাকৃতি এলইডি ডিআরএল। হেডল্যাম্পের সামনে একটি দীর্ঘ উইন্ড স্ক্রিনের দেখা মিলেছে। এছাড়া রয়েছে ওয়ান পিস সিট, ট্যাপার টেল সেকশন, যা Dakar Rally-র বাইকগুলির সাথে সদৃশ। আবার নতুন ট্রেলিস ফ্রেম, নয়া সাবফ্রেম এবং সুইং আর্মে চোখে পড়েছে বাইকটিতে।
2025 KTM 390 Adventure-এর হার্ডওয়ারের প্রসঙ্গে বললে এতে উপস্থিত WP ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার মোনোশক সাসপেনশন। টেস্ট মডেলটির সামনে ১৯ ইঞ্চি এবং পেছনে ১৭ ইঞ্চি ওয়্যার স্পোক হুইলের সাথে ব্লক প্যাটার্ন টায়ারের দেখা মিলেছে। অনুমান করা হচ্ছে, বাইকটির নতুন ভার্সনে বিভিন্ন রাইডিং মোড, লঞ্চ কন্ট্রোল, এবিএস মোড, উন্নত কুইক শিফ্টার, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি ইত্যাদির দেখা মিলবে। এতে
নেক্সট জেনারেশন 390 Adventure সংস্থার নতুন ৩৯৯ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিনের সঙ্গে আসবে। যা লেটেস্ট 390 Duke-এও বর্তমান। এটি থেকে সর্বোচ্চ ৪৪.২৫ বিএইচপি এবং ৩৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনকে যোগ্য সঙ্গত দিতে থাকছে স্লিপার ক্লাচ এবং বাই ডিরেকশনাল কুইক শিফ্টার সহ সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স।
লঞ্চের আগে নতুন KTM 390 Adventure-এর আরও বেশ কয়েকবার পরীক্ষা চালানো হবে। অনুমান করা হচ্ছে, 2024 EICMA-তে উন্মোচিত হতে পারে এটি। সে ক্ষেত্রে ২০২৫ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ভারতের মাটিতেই তৈরি হবে এবং এখান থেকে বিদেশের বাজারে রপ্তানি হবে। বর্তমানে কেটিএম তাদের 390 Adventure মডেলটি ৩.৬ লক্ষ টাকায় (এক্স-শোরুম) বিক্রি করে। তাই নতুন সংস্করণের দাম সামান্য বেশি হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।