ভারতে নতুন বিপ্লবের সূচনা! সিএনজি’র পর দেশের প্রথম বায়োগ্যাস চালিত বাইক আনছে বাজাজ

বিশ্বের প্রথম সিএনজি বাইক এনে বড় মাইলফলক স্থাপন করেছে বাজাজ। তুলনামূলক কম বায়ু দূষণের পাশাপাশি উচ্চ জ্বালানি দক্ষতা পাওয়া যায় বাইকে। এবার দেশের প্রথম সিবিজি বা বায়োগ্যাস চালিত মোটরবাইক আনছে Bajaj Auto।

Update: 2024-11-18 05:37 GMT

Bajaj Auto CNG Bike Launch Date

চলতি বছর দেশের প্রথম সিএনজি চালিত বাইক ফ্রিডম ১২৫ (Freedom 125) লঞ্চ করেছে বাজাজ (Bajaj)। এবার সংস্থাটি সবাইকে চমকে দিয়ে আনতে চলেছে ভারতের প্রথম সিবিজি (CBG) বা কমপ্রেসড বায়োগ্যাস চালিত মোটরবাইক। এদিন তারই ইঙ্গিত দিলেন সংস্থার সিইও রাজীব বাজাজ। পুনেতে অনুষ্ঠিত আমুল ক্লিন ফুয়েল বায়োসিএনজি কার র‍্যালিতে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সিএনজি মোটরসাইকেলটি সিবিজির জন্যও উপযুক্ত। সিবিজি প্রজন্মের জন্য আমুল যে ধরনের কাজ করছে তা স্থায়িত্বের জন্য চমৎকার। যদি এটি একটি বৃহত্তর স্কেলে রূপান্তরিত হয়, যা আমি নিশ্চিত যে আগামী বছরগুলিতে ঘটবে, তাহলে যানবাহনগুলিও বায়োগ্যাসে চলতে পারে। তবে বাজাজ কবে সিবিজি চালিত বাইক লঞ্চ করবে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি।

কেন্দ্রের ভাহান পোর্টালে উপলব্ধ ডেটাবেস অনুযায়ী, ভারতের বাজারে ফ্রিডম ১২৫ সিএনজি বাইকের ২৭,০০০ ইউনিট উপলব্ধ রয়েছে। বাইকটি ৫ জুলাই লঞ্চ করা হয়েছিল। এতে ২ কেজি সিএনজি ট্যাঙ্কের সাথে ২ লিটার পেট্রোল ট্যাঙ্ক রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রথম সিএনজি বাইকটি ১২৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। এটি ৮,০০০ আরপিএম-এ সর্বাধিক ৯.৫ হর্সপাওয়ার এবং ৬,০০০ আরপিএম-এ ৯.৭ এনএম টর্ক শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।

বাজাজ দাবি করেছে যে মোটরসাইকেলের মোট মাইলেজ ৩৩০ কিলোমিটার। চালকেরা সিএনজি বা পেট্রোল মোডে মোটরসাইকেল চালাতে পারেন। এটি করার জন্য তাদের কেবল একটি সুইচ ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাঙ্কের ক্ষেত্রে পেট্রোল ট্যাঙ্কের ক্ষমতা ২ লিটার এবং সিএনজি ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা ২ কেজি। সংস্থার দাবি, বাইকের সিএনজি মাইলেজ প্রতি কেজি ১০২ কিলোমিটার এবং পেট্রল ৬৫ কিমি প্রতি লিটার।

ডিজাইনের দিক থেকে, মোটরসাইকেলটিতে একটি সম্পূর্ণ এলইডি হেডলাইটের পাশাপাশি একটি টেললাইট রয়েছে। মিলবে হ্যালোজেন ইন্ডিকেটর, ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, একটি মনোক্রম এলসিডি এবং ব্লুটুথ সাপোর্ট। ট্যাঙ্কের একটি বড় অংশ পেট্রোল এবং সেইসাথে সিএনজি জ্বালানি ট্যাঙ্ক উভয়ই অ্যাক্সেস করতে দেয়। ট্যাঙ্কের উপরে একটি এয়ার ফিল্টার রয়েছে।

Tags:    

Similar News